শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে নীলফামারীতে শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারের মানববন্ধন

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে নীলফামারীতে শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারের মানববন্ধন
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং বিচার দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) সকাল১১: ৩০ থেকে দুপুর ১: ৩০ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা।

মানববন্ধনের আয়োজন করেন নীলফামারীর শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারগুলোর সদস্যরা। এতে অংশ নেন জেলার বিশিষ্ট আইনজীবী, রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষেরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ, নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পিপি এডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও  (পিপি  নারী ও শিশু),অ্যাডভোকেট  আসাদুজ্জামান খান রিনো ,  নীলফামারী পৌর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট মামুনার রশিদ পাটোয়ারী, এডভোকেট আনিছুর রহমান আজাদ,ওয়ারিয়র্স অব জুলাই নীলফামারী জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তফা মুহাম্মদ শ্রেষ্ঠ, ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি,, মো:শফিকুল ইসলাম সহ শহীদ পরিবারের সদস্য এর মধ্যে শহীদ মহিদুল এর ছোট ভাই শহিদুল। শহীদ আতিক এর ছোট ভাই আব্দুল ওয়াদুদ শহীদ গোলাম রাব্বানির পরিবারে সদস্যরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

শহীদ মহিদুল এর ছোট ভাই শহিদুল বলেন,২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকালে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী, নীলফামারী-২ আসনের বিনা ভোট ও রাতের ভোটের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলার নাটকীয় মামলায় আসামি করে। আমার ভাই শহীদ মহিদুল( পিতা :ক্বারী আনোয়ার হোসেন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। শহিদ মহিদুল ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সদস্য ও বিনোদপুর শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। 

""আমার ভাই (শহীদ মহিদুল) ছাএ শিবির কারাই কি তার অপরাধ ছিলো?""

ছাত্রদল নেতা শহীদ আতিক এর ছোট ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বলেন ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টাঙ্গাইল থেকে ছাএশিবিরের নেতা মহিদুল ও ছাত্রদল নেতা আতিককে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে এ দু'জনই নিখোঁজ ছিলেন। লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানির লাশ পাওয়া গিয়েছিল ১৮ জানুয়ারি। ছাত্রদল নেতা আতিকুল ইসলাম আতিকের লাশ পাওয়া যায় ২০ জানুয়ারি। ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার মোকামতলা রহবল বাজারের উত্তর পাশে একটি জমি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় মহিদুল লাশ বগুড়ার আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশটি দাফন করা হয়।

এরপর পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশের ছবি দেশের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়। ওই লাশের ছবি দেখে মহিদুলকে শনাক্ত করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নির্যাতিত পরিবারগুলো ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। যারা নির্যাতন চালিয়েছে , তারা আজও বিচারের বাইরে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বিনা ভোট ও রাতের ভোটের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী পৌর সভায় দুর্নীতির মহারাজা জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মেয়র দেওয়ান কামাল, যিনি ৩০ বছরে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। দুর্নীতির মহারাজা দেওয়ান কামাল সহ হত্যা মামলার প্রায় সকল আসামিরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে অনেকই জামিন নিয়েছেন, কিভাবে, কোন উপায়ে? তার জামিন পেলেন???

এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নারকীয় ওই হত্যার বিচারের আশায় আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি।সকল নির্যাতনের বিচার এবং দোষীদের শাস্তির দাবী জানাই।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন