উন্নয়নের পথে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি, অপপ্রচারে ব্যস্ত সিন্ডিকেটচক্র


বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীন দেশের একমাত্র লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড বর্তমানে দৃশ্যমান উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে রাব্বিক হাসান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও টেন্ডার বাণিজ্য দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত বছরের ৫ আগস্ট বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাব্বিক হাসান এমডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাত্র এক বছরেই প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন, নিরাপত্তা ও শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন তিনি। এর ফলে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি পূর্বের তুলনায় আরও বেশি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।
উন্নয়নের এই ধারা থামাতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচারে নেমেছে। তারা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কেরু সূত্রে জানা গেছে, ডিস্টিলারি ইউনিটে সিএস বোটলিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং কান্ট্রি লিকার উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও লাইসেন্স গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ফ্রেন মিটারসহ আধুনিক অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে, রাসায়নিক কারখানার উন্নয়ন, শ্রমিক সংকট নিরসন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ডিস্টিলারি ইউনিটের চারপাশে সিসিটিভি, কাঁটাতার, অতিরিক্ত গেট এবং নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চিনিকলের জৈব সার ও ভিনেগার ইউনিটের উৎপাদনও বাড়ানো হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও মুনাফা অর্জনে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিটে রিকভারি রেট বাড়ার ফলে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সর্বোচ্চ লাভের দিকে এগোচ্ছে।
বর্তমানে শ্রমিক-কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সৎ, নির্ভীক ও উন্নয়নমুখী নেতৃত্বের কারণে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি একটি সুশৃঙ্খল, লাভজনক ও আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।
