ব্রিটেনের আদালতের অনুমোদন, ইসরায়েলে যাবে এফ-৩৫ যন্ত্রাংশ


ইসরায়েলের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। সোমবার (৩০ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
এই রায়ের ফলে যুক্তরাজ্য সরকার এখন ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ রপ্তানি চালিয়ে যেতে পারবে। তবে মানবাধিকার সংস্থা ‘আল-হক’ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিল। তারা দাবি করে, এই রপ্তানি আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন, কারণ এর মাধ্যমে সরাসরি ইসরায়েলের সামরিক হামলাকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আল-হকের যুক্তি ছিল, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানো মানবিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ রায়ের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো হতাশা প্রকাশ করেছে এবং এ বিষয়ে আরও আইনি চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইসরায়েলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রপ্তানি করতে যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দিয়েছে লন্ডনের একটি আদালত। সোমবার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মানবাধিকার সংস্থা আল-হক গত মাসে এক শুনানিতে যুক্তি দিয়েছিল যে এই সিদ্ধান্তটি বেআইনি কারণ এটি জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ব্রিটেনের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে। গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
তাই তেল আবিবকে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ যাতে যুক্তরাজ্য না করে সেজন্য আবেদন জানিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু হাইকোর্ট একটি লিখিত রায়ে মানবাধিকার সংস্থাটির চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে নিজেদের সহায়তা ও সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছে। এই কর্মসূচির আওতায় দেশটি এফ-৩৫ তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি বলেছেন, ‘যদি স্থগিতাদেশ দেয়া হয় তাহলে পুরো এফ-৩৫ প্রোগ্রামকে প্রভাবিত করবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
