চোখের পাতায় খুশকি হলে কী করা উচিত?


খুশকি বলতে আমরা মূলত মাথার ত্বকে খুশকি হওয়াকেই বুঝি। কিন্তু খুশকি যে শুধু মাথার চুলেই হয় এমনটা নয়। খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে ভ্রু কিংবা চোখের পাপড়িতেও।
এই সমস্যা একদিকে যেমন অস্বস্তিকর অন্যদিকে সবার সামনে বিব্রতকরও। মাথার ত্বকে চুলে খুশকির সমস্যা দেখা দিলে তা আপনি হয়তো কোনো না কোনোভাবে সবার নজর থেকে আড়াল করতে পারবেন কিন্তু ভ্রু বা চোখের পাতায় খুশকি হলে তা কোনোভাবেই সবার নজর থেকে আলাদা করতে পারবেন না।
এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এই উপায়ে আপনার ভ্রু এবং চোখের পাতায় খুশকি যেমন দূর হবে তেমনি খুশকির কারণে ভ্রু এবং চোখের পাতার পাপড়ি হালকা হয়ে গেলে তাও আবার ফিরে পাবেন।
করণীয়
এর জন্য প্রথমেই যে কাজটি করতে পারেন তা হলো একটি কটন বারের মাধ্যমে হালকা গরম অলিভ অয়েল চোখের পাতায় লাগাতে পারেন। ঘুমোনোর আগে এটি লাগালে সারা রাতে এটি ত্বকের শুষ্কতা রিপেয়ারের সুযোগ পাবে। প্রতিদিনের এই অভ্যাসে মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন।
অলিভ ওয়েলের মতো আমন্ড অয়েলও ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ দূর করে। এটি চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায় এবং ময়শ্চারাইজ করে।
এক্ষেত্রে টি ট্রি অয়েলও ভালো কাজ করে। তুলা ভিজিয়ে চোখের পাতা এবং ভ্রুতে ভালো করে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ৫ মিনিট হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে চোখের পাতা এবং ভ্রুর খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।
ভ্রু এবং চোখের পাপড়ির খুশকি তাড়াতে অ্যালোভেরাও ভালো কাজ আসে। অ্যালোভেরা জেল খুশকি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দূর করে, এর পাশাপাশি জ্বালা, ব্যথা এবং লালচে ভাবও কমায়। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
এ ছাড়া এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাঝে মধ্যে ভ্রু ও চোখের পাতায় হালকা গরম ভাব দিতে পারেন। এর জন্য হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে হালকা ভাবে ভ্রু এবং চোখের পাতার পাপড়ির অংশে ভাব দিতে পারেন। এতে এসব স্থানের টিস্যুগুলো সুগঠিত হবে এবং খুশকির সমস্যা অচিরেই দূর হবে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
দৈএনকে/জে .আ
