সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ১, দুইজন সাময়িক বরখাস্ত


নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় লোহা চুরির ঘটনায় টিএলআর (টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট) মো. জাবেদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জাবেদ সৈয়দপুর পৌর এলাকার পাটোয়ারীপাড়ার মো. মমিতুল ইসলামের ছেলে। এঘটনায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) হাবিলদারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন মেশিন শপের ইনচার্জ উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ থেকে লোহার বাবরি চুরির তথ্য জানতে পারেন শপটির ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তাৎণিক বিষয়টি বিভাগীয় তত্তবোধায়ককে জানান এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন। ফুটেজে দেখা যায়, জাবেদ একটি বস্তায় লোহার বাবরি বহন করছেন। এরপর তাঁকে আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরির কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় বাফার সেকশনের টিএলআর হুমায়ুন কবির (৪৩), ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের টিএলআর সাইফুল ইসলাম (৩৫), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার হাসান আল মামুন (৪০) এবং চোরাই মাল কেনার অভিযোগে শহরের ব্যবসায়ী মোহন চন্দ্র, মুন্না হোসেন, জাভেদ আকতার ও এরশাদ আলীর নাম উঠে আসে।কারখানা কর্তৃপক্ষ হুমায়ুন কবির ও সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর লালমনিরহাট কমান্ড্যান্ট মোরশেদ আলমের নির্দেশে হাবিলদার হাসান আল মামুনকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শক ইলিয়াছ হোসেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদ-উন নবী রেলওয়ে কারখানার মালামাল চুরির ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,মামলাটি রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী তদন্ত করছে।
