মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • নারী ফুটবল দলের জন্য অর্ধকোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৫৭ লাখে পৌঁছেছে: ইউএনএফপিএ গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১০ জুলাই যমুনা অভিমুখে বিডিআর সদস্যরা, পুলিশের টিয়ার সেল ও গ্রেনেড নিক্ষেপ দেশে ফিরেছেন ৭৩ হাজার হাজি, মৃত্যু ৪৪ জনের ইয়েমেনের তিন বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, ফের মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল
  • ছাত্রদের ঢাল হয়ে দাঁড়ানো সেই মাসুদ আলম এখন রমনার ডিসি

    ছাত্রদের ঢাল হয়ে দাঁড়ানো সেই মাসুদ আলম এখন রমনার ডিসি
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সারাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যতিক্রমী ভূমিকা রাখেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, তখনকার পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    ছাত্রদের প্রতি মানবিক ও সাহসী অবস্থানের কারণে ওই সময়ে ভাইরাল হওয়া মাসুদ আলমের একটি ভিডিও সম্প্রতি আবার আলোচনায় আসে। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, যদি তোমাদের অ্যাটাক করার জন্য কেউ আসে, তাহলে আমি আছি। আমার উপর দিয়ে যাইতে হবে। আগে আমাকে মারতে হবে, তারপর যাইতে হবে।

    এই ভিডিওটি প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় ‘দ্য রেড জুলাই’ নামের একটি পেজ। পরবর্তীতে তা শেয়ার করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই মাসুদ আলমের প্রশংসা করেন।

    ‘দ্য রেড জুলাই’ পেজের এডমিন সজিব বলেন, ভিডিওটা আমাদের পাবনা জেলা টিম পাঠিয়েছে। সেদিনের আন্দোলনে মাসুদ আলম সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তা স্থানীয়রাও স্বীকার করেন।

    একজন নেটিজেন নাজমুস সাদাত মন্তব্যে লেখেন, সেদিন মাসুদ ভাই সাহসী ভূমিকা না নিলে হয়তো শহীদের তালিকা আরও দীর্ঘ হতো। ধন্যবাদ মাসুদ ভাই।

    এছাড়া বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়েও সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকায় প্রশংসিত হয়েছেন মাসুদ আলম। গত মে মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মাঠে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হুট করে খেলার মাঠ থেকে জার্সি পরেই ঘটনাস্থলে চলে যান তিনি। তখন তিনি ছিলেন ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি।

    এর আগেও তিনি আলোচনায় আসেন ১৫ এপ্রিল সায়েন্সল্যাব মোড়ে সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায়। সেসময় তিনি বলেছিলেন, এই সংঘর্ষের কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

    মাসুদ আলম বাংলাদেশ পুলিশের ২৮তম বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি র‌্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প ও পাবনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হন এবং বর্তমানে তিনি রমনা বিভাগের ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন