বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নারী-শিশুসহ ২০ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ


মিয়ানমার থেকে আসা ২০ রোহিঙ্গা নাগরিককে বহনকারী একটি নৌকা সেন্টমার্টিন উপকূলে এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকালে দ্বীপের উত্তর পাশে ভিড়ে নৌকাটি। যাত্রীদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, তিনজন নারী এবং একটি শিশু রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, "রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের কারাগার থেকে বের হয়ে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা একটি নৌকায় চড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করে। পরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাটি প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঢুকে পড়ে। পরে উত্তর-পশ্চিম বিচে আশ্রয় নেয়। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে তাদের একটি হোটেলে নেওয়া হয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা মুহাম্মদ সোলেইমান বলেন, সকালে ঝড়ো বৃষ্টির কবলে পরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা দ্বীপে সৈকতে পৌঁছে। তারা নৌকা থেকে নেমে তীরে ঢুকে পরে। পরে বিজিবি তাদের হেফাজতে নেয়। সেখানে শিশুসহ রোহিঙ্গা নারী রয়েছে।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা দ্বীপে অনুপ্রবেশের বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। বিষয়টি বিস্তারিত আমি অবগত নই।
এদিকে সেন্টমার্টিনে অনুপ্রবেশের বিষয়ে টেকনাফের বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। টানা ১১ মাস যুদ্ধের পর ৮ ডিসেম্বর আরকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। মিয়ানমার থেকে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
