শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • মাইলস্টোন স্কুলের ছাত্র জারিফের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে গণতন্ত্রকে: মির্জা ফখরুল খাগড়াছড়িতে জেএসএস ও ইউপিডিএফের মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ৪ ঝুঁকিহীন ও টেকসই ঋণে জোর দেবে ইউসিবি সাবেক সচিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামসুল আলম আর নেই বিমানবন্দরের ‘ফ্লাইং জোনে’ মাইলস্টোন, সরানোর সুপারিশ পরিকল্পনাবিদদের নতুন সংবিধানের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি : নাহিদ ইসলাম দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, লোকালয়ে জলাবদ্ধতা বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে চাইঃ এ্যানি বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নারী-শিশুসহ ২০ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • বিমানবন্দরের ‘ফ্লাইং জোনে’ মাইলস্টোন, সরানোর সুপারিশ পরিকল্পনাবিদদের

    বিমানবন্দরের ‘ফ্লাইং জোনে’ মাইলস্টোন, সরানোর সুপারিশ পরিকল্পনাবিদদের
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ আইনগতভাবে অনুমোদিত হলেও এটি বাস্তবভাবে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ এলাকায় স্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির নেতারা বলেন, "প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান ঘনবসতিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায়, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।" 

    ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা: জননিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শীর্ষক অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিআইপি জানায়, প্রতিষ্ঠানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এরিয়ার মধ্যে পড়েছে। তাই এখান থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া উচিত।

    প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিআইপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রানওয়ের পর ৫০০ ফুট এলাকায় কোনো স্থাপনা করা যায় না। এরপর ১৩ হাজার ফুটের একটি অংশ অ্যাপ্রোচ এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত, যেখানে ১৫০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার স্থাপনা অনুমোদনযোগ্য হলেও সেখানে কী ধরনের ব্যবহার হবে, সে বিষয়ে সরকারের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর সাধারণত শহর থেকে দূরে থাকে। কিন্তু ঢাকায় এখন রানওয়ের চারপাশে ঘনবসতি, আবাসিক এলাকা, এমনকি স্কুল-কলেজ রয়েছে। এটি কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।’

    সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অ্যাপ্রোচ এরিয়া থেকে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা সরিয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও প্রাণহানি হবে। যেসব ভবনের অনুমোদন নেই বা অনুমোদন ব্যত্যয় হয়েছে, তা ভেঙে ফেলা উচিত।’

    তিনি বলেন, ‘১৯৯৫ সালের ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) অনুযায়ী মাইলস্টোন এলাকার জায়গাটি ছিল জলাশয়। সেটি ভরাট করতে দেওয়া হয়। প্রশ্ন হলো, রাজউক কেন ভরাট করতে দিল? যারা অনুমোদন দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের দায় আছে।’

    বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘মাইলস্টোন নির্মাণকারী, রাজউক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন – সবাই এ দায় এড়াতে পারে না। এদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

    সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিআইপির সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন।

    উল্লেখ্য, গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ

    আরও পড়ুন