লাদাখ নিয়ে চীনের অবস্থান আবারও আলোচনায়


ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রায় দিয়েছে যে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপে অন্যায় কিছু হয়নি। তার পরেই ওই রায়কে হাতিয়ার করে লাদাখ নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে ভারতের অস্বস্তি বাড়াল চীন। চীন জানাল, এই রায়ের জেরে লাদাখ নিয়ে তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হবে না।
শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ লোপের পরেই সেটি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে আপত্তি জানিয়েছিল চীন।
বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিংয়ের গলায় ফের সেই সুর শোনা গেল।
সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ লোপ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার কোনো নিয়ম ভাঙেনি। ভারত সরকারের ওই পদক্ষেপে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চীনা মুখপাত্র বলেছেন, ‘অতীত ভুলে শান্তিপূর্ণভাবে এবং জাতিসঙ্ঘ সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ও প্রাসঙ্গিক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ঠিক ভাবে কাশ্মীরের সমাধান করা দরকার।’
২০২০-র জুনে লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকে চীন ও ভারতের সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। সীমান্ত-প্রসঙ্গে সমাধান সূত্রের খোঁজে তার পর থেকে দু’দেশের সেনা এবং কূটনৈতিক স্তরে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। এদিকে গালওয়ান-পরবর্তী সময়ে লাদাখের একাধিক এলাকায় চীনের অবস্থান এবং একের পর এক পরিকাঠামো তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
