নেতানিয়াহুর পাশে ট্রাম্প, বললেন ‘মহান নেতাকে শাস্তি নয়, সম্মান দিন’


ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই মামলাকে বলেছেন ‘উইচ-হান্ট’, অর্থাৎ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে প্ররোচিত একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারপ্রক্রিয়া।
ট্রাম্পের মতে, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক স্বার্থে পরিচালিত। তিনি মামলাটি তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করার আহ্বান জানান, পাশাপাশি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর জন্য ক্ষমার দাবি তোলেন।
এই মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প একদিকে যেমন নেতানিয়াহুর প্রতি নিজের রাজনৈতিক সমর্থনের কথা জানালেন, তেমনি ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও পরোক্ষভাবে প্রশ্ন তুললেন।
বুধবার (২৬ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে ট্রাম্প লিখেছেন, নেতানিয়াহুর বিচার অবিলম্বে বাতিল করা উচিত, অথবা তাকে ক্ষমা দেওয়া হোক। তিনি একজন মহান নায়ক, যিনি ইসরায়েলের জন্য অসাধারণ অবদান রেখেছেন।
২০১৯ সালে ঘুস, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হন নেতানিয়াহু। ২০২০ সালে তার বিচার শুরু হয়, যা তিনটি আলাদা ফৌজদারি মামলার অংশ। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। চলতি মাসের ৩ জুন থেকে তেল আবিবে তার জেরা শুরু হয়েছে, যা প্রায় এক বছর পর্যন্ত চলতে পারে বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমা?
ইসরায়েলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের কাছে ক্ষমা করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও তিনি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে এমন কোনো অনুরোধ জমা পড়েনি এবং ক্ষমার বিষয়টি আলোচনাতেও নেই।
‘যুক্তরাষ্ট্রই নেতানিয়াহুকে বাঁচাবে’
ট্রাম্প আরও বলেন, ইসরায়েলকে আমরাই বাঁচিয়েছি, আর এখন আমরাই নেতানিয়াহুকে বাঁচাবো।
তবে একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতানিয়াহুর বিচার বন্ধ করতে ট্রাম্প বাস্তবিকভাবে কী করতে পারেন, তা নিশ্চিত নয়।
ট্রাম্পের এই প্রকাশ্য সমর্থন নেতানিয়াহুর জন্য ইতিবাচক হলেও এর আগের দিনই তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি হওয়ার পরপরই ইসরায়েল ইরানে ভয়াবহ বোমা বর্ষণ করে—এত বড় মাত্রার বোমাবর্ষণ আগে দেখিনি। এতে আমি মোটেও খুশি নই।
