হার দিয়েই সিরিজ শুরু বাংলাদেশের


নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলেও এখন ওয়ানডে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার ভালো কিছু করার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। কিউইদের মাটিতে ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেতে আরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে টাইগারদের।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় টপ অর্ডারের ৫ উইকেট দ্রুত হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। রানের গতি সচল থাকলেও ব্যাটারদের আসা যাওয়ায় সফরকারীরা খেই হারায়। সেই ধাক্কা আর সামলানো যায়নি। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে প্রথমটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ৪৪ রানের পরাজয় বরণ করেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
রোববার ১৭ ডিসেম্বর ডানেডিনে ম্যাচটি তিনবার বৃষ্টির বাধার মুখে পড়ে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইরা ৭ উইকেটে ২৩৯ রানে থামে। বৃষ্টি আইনে টাইগারদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৫ রান। ব্যাট হাতে লড়াকু মেজাজ দেখিয়ে টিম টাইগার্স ৯ উইকেটে ২০০ রানে থামে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলে না থাকা সৌম্য সরকার ফিল্ডিংয়ে ছেড়েছেন দুটি ক্যাচ। ব্যয়বহুল বোলিং ৬ ওভারে ৬৩ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য। ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা না খুলেই অ্যাডাম মিলনের বলে টম ল্যাথামের হাতে ধরা পড়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন। দলীয় এক রানেই লাল-সবুজের দল প্রথম উইকেট হারায়।
শুরুটা সাবলীলভাবে করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ শান্ত। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ১৫ বলে ২ চারে ১৭ রান করে ইশ সোধির বলে বোল্ড হন। আবারো দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ছন্দ দেখা গেলেও পাননি ফিফটি। অভিষিক্ত ডানহাতি পেসার জশ ক্লার্কসনের বলে পুল শট করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেয়ার আগে খেলেন ৩৯ বলে ৫ চারে ৪৩ রানের ইনিংস।
চারে নামা লিটন দাস করেছেন হতাশ। বড় ইনিংস খেলার আশা জাগালেও ১৯ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ব্যক্তিগত ২২ রানেই থামেন। ক্লার্কসনের স্লোয়ার বাউন্সারে অহেতুক হুক করতে গিয়ে বিপদ ডেখে আনেন। বল তার গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের দস্তানায় জমা পড়ে।
মুশফিক মাত্র ৪ রান করে রাচীন রবীন্দ্রর বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে করেন সর্বনাশ। তার গ্লাভসে বল ছুঁয়ে ব্লান্ডেলের গ্লাভসে ধরা পড়ে মাঠ ছাড়েন।
ষষ্ঠ উইকেটে দ্রুত রান তুলে ৫৬ রান যোগ করেন তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। সুইপ খেলতে গিয়ে হৃদয়ের ব্যাটের উপরের কানায় বল লেগে যায়। সোধির বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে মিলনে ক্যাচ নেন। হৃদয় ২৭ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রানে থামেন। খানিকপর আফিফও তাকে অনুসরণ করেন। বাঁহাতি ব্যাটার জ্যাকব ডাফির বলে শর্ট মিড উইকেটে উইল ইয়াংয়ের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় তার ব্যাটে আসে ৩৮ রান।
এরপর ডানেডিনের দর্শকরা ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্যাচের সাক্ষী হন। শরিফুল ইসলামের মারা শট বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে যাচ্ছিল। ডিপ মিড উইকেটে দড়ির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা উইল ইয়াং শরীর খানিকটা পিছিয়ে নিয়ে শূন্যে লাফ দেন। ডান হাতে বল তালুবন্দি করার পর শেষ মুহূর্তে শরীর বাঁকিয়ে নিজেকে সীমানার ভেতর রাখেন। টিভি আম্পায়ার রিপ্লেতে আউট দিলে ৫ রানে ফেরেন শরিফুল।
অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ২১ বলে এক চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খানিক ব্যবধান কমাতেই সক্ষম হয়।
কিউইদের পক্ষে দুটি করে উইকেট পকেটে পুরেন অভিষিক্ত ক্লার্কসন, সোধি ও মিলনে।
