জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে অনন্ত ২৪ জনের মৃত্যু


জাপানের ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে শতাধিক। নতুন বছরের প্রথম দিনে এই ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয় জাপান।
মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি জাপানের উদ্ধারকারী দল ভূমিকম্পের বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়, যার উচ্চতা ১ মিটারেরও বেশি। ভূমিকম্পে জাপানের বহুতল ভবন গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাশাপাশি বিভিন্ন রাস্তা ভেঙে গেছে।
জাপানের নোটো উপদ্বীপে ১ মিটারের বেশি উচ্চ ঢেউ আঘাত হানার পর ভবনগুলো ভেঙে গেছে , জনসাধারণের বসবাসের ঘর ও মাছ ধরার নৌকাগুলো ডুবে গেছে এবং কিছু উপকূলে ভেসে গেছে। মঙ্গলবার সুনামি সতর্কতা তুলে নেয়া হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বছরের প্রথম দিনে একটি বড় ভূমিকম্পের পর জাপান সমস্ত সুনামির সতর্কতা ও পরামর্শ প্রত্যাহার করেছে। সমুদ্রে জোয়ারের স্তরে পরিবর্তন হতে পারে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, এই ভূমিকম্পে বহু প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১ হাজার উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা থাকা মানুষকে উদ্ধাররের কাজ করছে।
জাপানি সামরিক বাহিনী ভূমিকম্পে গৃহহীনদের জন্য খাবার, পানি এবং কম্বলসহ প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জাপানকে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
অন্যদিকে জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে নোটো অঞ্চল জুড়ে রাস্তা ভেঙে গেছে। ওয়াজিমা শহরের বিমানবন্দরে প্রায় ৫০০ জন আটকা পড়েছে।
ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ভ্রমণকারী, স্থানীয় বাসিন্দারা বিনিন্ন ভাড়ার গাড়ি এবং বাসে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ অনেক এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে যা উদ্ধার ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তিনটি প্রিফেকচারে ১৯টি চিকিৎসা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ ও পানি বিভ্রাট রয়েছে। কিছু হাসপাতাল রোগীদের স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে।
