হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণায় সতর্ক থাকবেন যেভাবে


সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।লোকজনকে ঠকিয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত বা আর্থিক তথ্য আদায় করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে এই জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যবহার করে। এই ধরনের প্রতারণা যেকোনও জায়গায়, যে কারও সাথে হতে পারে তাই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা যেভাবে প্রতারক শনাক্ত করবেন:
প্রতারক সাধারণত ইনবক্সে শুধুমাত্র ‘হাই’ বা ‘হাই (আপনার নাম)’ লিখে চ্যাট করা শুরু করে এবং আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে বা টাকা পাঠানোর কথা বলার আগে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার চেষ্টা করে।
পরিচিত কেউ ফোন হারিয়ে ফেললে তার ফোন ব্যবহার করে প্রতারণা করতে থাকে প্রতারক চক্র। তাই পরিচয় নিশ্চিত করতে ভয়েস বা ভিডিও কলের সাহায্য নেওয়া যায়।
বেশিরভাগ সময়ই প্রতারণার মেসেজগুলো লটারি, জুয়া, চাকরি, বিনিয়োগ বা লোন সম্পর্কিত হয়। যদি কোন বিষয় অবাস্তব হলেও যদি সত্যি বলে মনে হয়, তার মানে এটি সত্যিই স্ক্যাম। যেমন- “আপনার মোবাইলে ঘরে বসে কাজ করে টাকা আয় করতে চান? ১০ গুণ রিটার্ন আয় করতে আজই দ্রুত টাকা জমা করুন”। বা “এই অ্যাপের মাধ্যমে স্টক এবং ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করে আপনার টাকা খুব দ্রুত ডবল করুন” ইত্যাদি।
হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্যাম বা প্রতারণা থেকে যেভাবে নিজেকে বাঁচাবেন:
১. কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে ভাবুন :
এরা কি অজানা নম্বর ব্যবহার করছে?
এরা কি আপনার সাথে তাড়াহুড়া করছে?
এরা কি হুমকি দিচ্ছে বা আপনাকে তাদের বিশ্বাস করতে বলছে?
এরা কি আপনাকে টাকা ট্রান্সফার করতে বা কোনও পাসওয়ার্ড, পিন বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে বলছে?
২. কথোপকথন বন্ধ করুন:
কল কেটে দিন বা মেসেজের উত্তর দেবেন না। সেই ব্যক্তি আপনাকে যা বলছে তা করবেন না। যেমন- টাকা ট্রান্সফার করা।
৩. ব্লক করে রিপোর্ট করুন:
আপনার সাথে প্রতারক ব্যবহারকারীর যোগাযোগ করা বন্ধ করতে তাকে ব্লক করুন এবং তার বিষয়ে রিপোর্ট করে হোয়াটসঅ্যাপকে জানান।
৪. আপনার গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা সেটিংস আপডেট করুন:
কারা আপনার তথ্য দেখবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনার গোপনীয়তা সেটিংস অ্যাডজ্যাস্ট করুন এবং আপনার অ্যাকাউন্টকে আরও ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখতে ২ ধাপের ভেরিফিকেশন চালু করুন।
