বিদ্যুৎ বিল বেশি? ঘরেই এই অভ্যাস বদলেই কমবে খরচ

গ্রীষ্মকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে এসি, ফ্যান ও ফ্রিজের ব্যবহার বেড়েছে। পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজে মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইনডাকশন বা রাইস কুকার এবং বিনোদনের জন্য টেলিভিশন, কম্পিউটারসহ নানা বিদ্যুৎ চালিত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়। এ অবস্থায় মেজাজ বিগড়ে যায় মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে। অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল দেখে কেউ কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে যান।

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে স্বাভাবিকভাবে চিন্তার ভাঁজ পড়ে কপালে। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো নিস্ক্রিয়ও করে দেয়ার উপায় থাকে না। আবার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলও বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যাতে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

স্মার্ট বাল্ব, বিদ্যুৎ ছাড়াই আলো:
এই গরমে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় হচ্ছে স্মার্ট বাল্ব। একটি বাল্ব ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই আলো দিতে পারে। এ ধরনের বাল্ব একবার চার্জ দিলে ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত চালু থাকে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও তা জ্বলতেই থাকে। এ কারণে কোনো ইনভার্টারের প্রয়োজন পড়ে না। স্মার্ট বাল্বের দামও হাতের নাগালে।

পাওয়ার কনজাম্পশন ট্র্যাকার, কোন যন্ত্র বেশি বিদ্যুৎ করচ করছে:
বাড়ির কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করছে, সেটি জানা জরুরি। এই কাজটি করবে পাওয়ার কনজাম্পশন ট্র্যাকার ডিভাইস। এটি একটি স্মার্ট গ্যাজেট, যা আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন উয়াইফাইয়ের মাধ্যমে সংযোগ করলে রিয়েল টাইমে বিদ্যুৎ ব্যবহার ট্র্যাক করতে পারবেন। এসি, ফ্রিজ, ফ্যান, কুলার ইত্যাদি সরঞ্জামের মধ্যে কোনটি কত ইউনিট খরচ করছে, তা জানতে পারবেন।

অন্যান্য উপায়:
এলইডি ও স্মার্ট বাল্ব ব্যবহার করুন। এই বাল্ব সাধারণ বাল্বের তুলনায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এসি ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখুন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমবে। ব্যবহারের পর বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বন্ধ রাখার অভ্যাস করতে হবে। যেমন- টেলিভিশন, কম্পিউটার ব্যবহারের পর মূল সুইচ বন্ধ রাখতে হবে। পুরোনো যন্ত্রপাতি থাকলে তা বদলে ফেলুন। নতুন ইনভার্টার প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ব্যবহার করুন। ফ্রিজ, এসি ও ওয়াশিং মেশিন নির্ধারিত সময়ে সার্ভিসিং করান এবং বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন। তাতে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ খরচ কমবে।