ইরাকে মোশাদের ‘গোয়েন্দা সদর দপ্তরে’ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা


ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় ইরান ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরাকের ব্যবসায়ী পেশরাউ দিজাইসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত চারজনকে গুরুতর আহত উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ইরাকের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার লক্ষ্যবস্তু স্থানগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের 'গোয়েন্দা সদরদপ্তর’ রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইরান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়া এবং ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
কুর্দিস্তান সিকিউরিটি কাউন্সিল জানায়, ইরান কয়েকটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। চারজন নিহত এবং অন্য ছয়জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে প্রখ্যত কুর্দি ব্যবসায়ী পেশরাও দিজায়িসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
আইআরজিসির উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, আইআরজিসি ইরাকের কুর্দিস্তান সদরদফতে ইসরাইলের মোশাদের গোয়েন্দা সদরদফতরে হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সিরিয়া ও ইরাকে একটি ‘গোয়েন্দা সদর দপ্তর’ এবং ‘ইরান-বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সমাবেশ’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এছাড়াও হামলাকে ‘বেপরোয়া’ বলেও অভিহিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আজ ইরবিলে ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা করে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়। আমরা ইরানের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরোধিতা করি, যা ইরাকের স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’ তবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটিতে মার্কিন কোনো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি বলেও নিশ্চিত করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিস্ফোরণের শব্দটি ৪০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা গেছে। ওই এলাকাটির কাছেই রয়েছে মার্কিন কনস্যুলেট। আবাসিক এলাকাও আছে সেখানে।
