মণিপুরে ফের সহিংসতা, ২ পুলিশ কমান্ডো নিহত


ভারতীয় রাজ্য মণিপুরে আবার ভয়াবহ সহিংসতা দেখা গেছে। বুধবার সশস্ত্র হামলাকারীদের সাথে সংঘর্ষে দুই পুলিশ কমান্ডো নিহত হয়েছে।
বুধবার ভারতীয় সময় সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র হামলাকারীদের সংঘর্ষ ঘটে উত্তর-পূর্ব মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা মোরে-তে। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৩২ বছর বয়সী পুলিশ কমান্ডো ওয়াংখেম সোমরজিৎ মিতির।
একই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন আরো তিন কমান্ডো। বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যায় আরো এক কমান্ডোর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম তাখেল্লাম্বাম শাইলেশ্বর। আহত বাকি দু’জনের অবস্থাও সঙ্কটজনক। চিকিৎসার জন্য বিমানে করে তাদের মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মেইতেই-কুকি জনগোষ্ঠীর জাতিগত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গত বছরের মে মাসের শুরু থেকে উত্তপ্ত মিয়ানমার সীমান্ত। গত অক্টোবরে সীমান্তে সশস্ত্র হামলাকারীদের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল পুলিশ অফিসার চিংথাম আনন্দ কুমারের।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগেই গত সোমবার ১৫ জানুয়ারি কুকি উপজাতির দু’জনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়।
সশস্ত্র হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট চালিত গ্রেনেড ছোড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইসাথে হামলাকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে বলে অভিযোগ।
মিয়ানমার সীমান্ত থেকে কয়েক শ' মিটার দূরে অবস্থিত একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য শহর মোরেতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দু'তরফের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে জখম হয়েছেন স্থানীয় এক বয়স্ক মহিলাও। এছাড়াও এদিনের হামলার ঘটনায় মোরে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং দুটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
কুকি ইনপি টেংনুপাল-সহ মোরের স্থানীয় নাগরিক সংস্থাগুলো গত অক্টোবরের পুলিশ অফিসার হত্যার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারের নিন্দা করেছে। তাদের বক্তব্য, নির্দোষ দু'জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল। তখনই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়।
