রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে ‘কঠোর ব্যবস্থার’ দাবি ম্যাক্রোঁর


ইউক্রেনের সুমি শহরে ভয়াবহ রুশ হামলার পর রাশিয়ার ওপর আরও কড়া চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়াকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি “কঠোর ব্যবস্থা” নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাতে জানা গেছে, সুমি শহরে রাশিয়ার চালানো সাম্প্রতিক হামলায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতেই ম্যাক্রোঁ তার বিবৃতিতে বলেন, “নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষায় আমাদের আর বিলম্ব করা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “শান্তির পথে রাশিয়াকে ফেরাতে এখনই সময় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার।”
রোববার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, “এই যুদ্ধ শুরু করেছিল রাশিয়া—এটা সবাই জানে। আর আজও একমাত্র রাশিয়াই মানবজীবনের তোয়াক্কা না করে, আন্তর্জাতিক আইন ও প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড) ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা উপেক্ষা করে এটি চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে এখন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি”। তিনি আরও জানান, সুমি শহরের এই হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, রোববার সকালে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী সুমি শহরের কেন্দ্রে রাশিয়ার দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।
