কাশ্মীরেই লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসীরা; মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত রসদ
.jpg)

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত চারজন জঙ্গি এখনো দক্ষিণ কাশ্মীরের ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে থাকতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। তারা আগেই পর্যাপ্ত খাবার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রেখেছিল, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে এবং আত্মগোপন দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্য ছিল তাদের।
এনআইএর তদন্তে উঠে এসেছে, ২২ এপ্রিলের হামলায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা অত্যন্ত সংগঠিত ও স্বনির্ভর ছিল। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক অভিযান সত্ত্বেও তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। গোয়েন্দাদের ধারণা, পাকিস্তান থেকেও তারা আগেই প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা পেয়ে থাকতে পারে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, ওজিডব্লিউ (ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স) এবং স্থানীয় সহানুভূতিশীলদের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা সহযোগিতা পেয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে আরু ও বেতাব উপত্যকাসহ চারটি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত প্রযুক্তি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গোয়েন্দারা। তারা এমন উন্নত যোগাযোগ সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে, যেগুলোতে সিম কার্ডের প্রয়োজন ছিল না এবং স্বল্প পাল্লার এনক্রিপ্টেড ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যেত। জানা গেছে, তারা হামলার সময় অন্তত তিনটি স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে, যাতে নিরাপত্তা বাহিনী হামলার আগে কোনো তথ্য আঁচ করতে না পারে।
হামলার কৌশলও ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত। তিনজন হামলাকারী আশেপাশের গোপন স্থান থেকে বেরিয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালায়, আর চতুর্থজন ব্যাকআপ হিসেবে দূরে অবস্থান নেয়। গোয়েন্দাদের ধারণা, এই চারজন ছাড়াও আরও অনেকে আশপাশে লুকিয়ে থাকতে পারে, যারা এই হামলায় সহায়তা করেছে।
