শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

সবকিছু বদলে গেছে, স্কুল-বিমানবন্দর-আকাশসীমা সব বন্ধ, নেই পর্যটকও

সবকিছু বদলে গেছে, স্কুল-বিমানবন্দর-আকাশসীমা সব বন্ধ, নেই পর্যটকও
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

কাশ্মির ইস্যু ফের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।

সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “কাশ্মিরে পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। এখনো রক্তপাত, জনদুর্ভোগ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, কাশ্মির সংকট কেবল আঞ্চলিক নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক মনোযোগ দাবি করে, এবং এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা জরুরি।

তার আক্ষেপ, উপত্যকায় স্কুল-বিমানবন্দর ও আকাশসীমা সবই বন্ধ রয়েছে এবং কোনও পর্যটকও নেই। সোমবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ফলে রাজ্যের অর্থনীতি ও কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে যে অগ্রগতি হয়েছিল, তা একেবারে ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘ সময় পর পর্যটন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, কিন্তু এই হামলার কারণে তা আবার থেমে গেছে।

একইসঙ্গে পাকিস্তান কাশ্মির ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিক মহলে ফের তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। এনডিটিভিকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা এমন এক জায়গায় পৌঁছে গেছি, যেটা আশা করিনি। এই মুহূর্তে রক্তপাত, দুর্দশা, অস্থিরতা সব চলছে। সবকিছু বদলে গেছে, আবার কিছুই বদলায়নি।”

তিনি বলেন, এই সময়ে কাশ্মিরে পর্যটকে ভরে থাকার কথা ছিল, অর্থনীতি চাঙা থাকার কথা ছিল, স্কুলে পড়াশোনা চলার কথা ছিল, বিমানবন্দরে প্রতিদিন ৫০-৬০টি ফ্লাইট ওঠানামা করার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হল—পর্যটক নেই, স্কুল বন্ধ, বিমানবন্দর বন্ধ, আকাশসীমা বন্ধ।

তিনি বলেন, “আমি যখন বলি কিছুই বদলায়নি, তখন সেটা পাকিস্তানকে ঘিরেই বলি। পাকিস্তান আবার পরিকল্পিতভাবে কাশ্মির ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মহলে তোলার সুযোগ পেয়েছে”। যুক্তরাষ্ট্রের নাম করে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এখন যেন মধ্যস্থতার ভূমিকা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক যতই জটিল হোক, এতদিন ধরে যুদ্ধবিরতি ছিল। কিন্তু এখন তা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আজ রাতেই কী হয়, তা দেখার অপেক্ষা।”

তিনি মনে করিয়ে দেন, মাত্র তিন সপ্তাহ আগেও পেহেলগাম ছিল জমজমাট পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু ২২ এপ্রিল সেখানে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন বন্দুকধারীরা ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন পর্যটক আর একজন ছিলেন স্থানীয় ঘোড়াওয়ালা।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ