সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের


সৌদি আরব সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় ধরনের অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তির আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে রয়েছে রাডার সিস্টেম, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, সাঁজোয়া যান এবং পরিবহন বিমান।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যে এ ধরনের বৃহৎ সামরিক সহযোগিতা মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত ভারসাম্য ও নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকদের মত।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের অস্ত্রের বড় সরবরাহকারী দেশ। যদিও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়েছিল জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময়। ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে তখন সৌদি আরবকে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল বাইডেন প্রশাসন।
এর আগে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডও দেশ দুটির সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছিল, যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ওই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন। যদিও সৌদি আরব সবসময় এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
ট্রাম্প কেন মধ্যপ্রাচ্যে
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম বিদেশ সফর শুরু করেছেন। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি আগামী চার দিন উপসাগরীয় অঞ্চলে থাকবেন।
তার এবারের সফরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে নতুন বিনিয়োগ বিশেষ করে তাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম সম্পদ তহবিল থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
এটি তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে মনে করেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ট্রাম্প বৈঠক করবেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সঙ্গে। পরে তিনি রিয়াদের সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দেবেন, যাতে নামিদামি কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারাও থাকবেন। ওয়াল স্ট্রিট ও সিলিকন ভ্যালি থেকে সৌদি আরবে বিনিয়োগের বিষয়টিতেও দৃষ্টি দেওয়া হবে।
বুধবার ট্রাম্প উপসাগরীয় অঞ্চলের নেতাদের সম্মেলনে যোগ দেবেন। শুক্রবার আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে তার চারদিনের সফর শেষ হবে।
