গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ৫৯, ‘নিরাপদ’ এলাকায় মৃত্যুপুরী


গাজা উপত্যকায় শেষরাতে চালানো ধারাবাহিক ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী যে এলাকাগুলোকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল, তারই একটি—আল-মাওয়াসিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।
আল-জাজিরা আরবির খবরে জানানো হয়, শনিবার (১৭ মে) রাতে উত্তর গাজার জবালিয়া আল-বালাদ এলাকায় একটি বাড়িতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
মধ্য গাজার আজ-জাওয়ায়দা শহরে আরেকটি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।
দেইর আল-বালাহ শহরে একটি বাড়িতে হামলায় আরও দুইজন নিহত হন, যাদের একজন শিশু। একইসঙ্গে উত্তর গাজার তাল আল-জাতার এলাকায়ও বিমান হামলা চালানো হয়, তবে সেখানকার হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গাজার মেডিকেল সূত্র জানায়, মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া বিমান হামলায় গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ অংশজুড়ে মোট ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একদিকে ইসরায়েল গাজায় আরও বড় পরিসরে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে কাতারে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনাও পুনরায় শুরু হয়েছে।
বাগদাদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা অবরুদ্ধ গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৩ হাজার ২৭২ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৩ জন। গাজার সরকার-নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া অফিস জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজার হাজার নিখোঁজ ব্যক্তিকে যুক্ত করে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
