বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj
বিশ্বজুড়ে গেমিংয়ের জোয়ার:

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৮৩% যুক্ত ভিডিও গেমে

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৮৩% যুক্ত ভিডিও গেমে
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের বিনোদনের ধরণ। মাঠের খেলাধুলার জায়গা দখল করে নিচ্ছে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে খেলা ভিডিও গেম। আর এই পরিবর্তন শুধু তরুণদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—সব বয়সী মানুষ এখন গেমিংয়ের অংশ।

এক আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৮৩.৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কোনো না কোনোভাবে ভিডিও গেম খেলেন। অর্থাৎ, ইন্টারনেট ব্যবহার এখন অনেকাংশেই গেমিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।

বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বব্যাপী গেমারের সংখ্যা প্রায় ৩৩২ কোটিতে পৌঁছাবে, যা মোট জনসংখ্যার বিশাল অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে ইন্টারনেট সহজলভ্যতা, স্মার্টফোনের প্রসার, সস্তা ডেটা এবং মোবাইল গেমের জনপ্রিয়তা।

গেমারদের সংখ্যায় এশিয়া শীর্ষে রয়েছে। এখানে প্রায় ১৪৮ কোটি মানুষ ভিডিও গেমের সঙ্গে যুক্ত, যা বৈশ্বিক গেমিং জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের মতো দেশে মোবাইল গেম বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

এরপর রয়েছে ইউরোপ (৪৫ কোটি গেমার) এবং লাতিন আমেরিকা, যেখানে গেমিং, ই-স্পোর্টস এবং স্ট্রিমিং দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

বর্তমান গেমিং জগৎ শুধুমাত্র খেলা নয়—এটি একটি বৈশ্বিক ইকোসিস্টেম। যার মধ্যে রয়েছে: ই-স্পোর্টস: কোটি কোটি ডলারের পুরস্কার নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, লাইভ স্ট্রিমিং: Twitch ও YouTube Gaming-এর মতো প্ল্যাটফর্মে গেম খেলে আয়ের সুযোগ, গেম ডেভেলপমেন্ট: লক্ষাধিক ডেভেলপার নতুন গেম তৈরিতে কাজ করছেন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) ও ক্লাউড গেমিং: ভবিষ্যতের গেমিং অভিজ্ঞতা গড়ে তুলছে।

বিশ্ববাজারে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির মূল্য ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগে গেমিং বলতে বোঝানো হতো কম্পিউটার বা গেম কনসোলে খেলা। এখন সবচেয়ে বড় অংশ দখল করেছে মোবাইল গেমিং। Subway Surfers, PUBG Mobile, Free Fire, Candy Crush-এর মতো গেমগুলো শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। গেম খেলছেন ছাত্র, চাকরিজীবী, গৃহিণী এমনকি অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও।

তবে এই গেমিং প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত গেম খেলার ফলে আসক্তি, চোখের সমস্যা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অভিভাবক ও তরুণদের সচেতনভাবে গেম খেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন