শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj
ঢাকা মেডিকেলে প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া দিবস উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সচেতনতার বার্তা ছড়াল

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সচেতনতার বার্তা ছড়াল
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

বিশ্ব প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)-এ আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল: "Ask me about PE"—অর্থাৎ, প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া সম্পর্কে জানতে ও জানাতে উৎসাহ দেওয়া।

ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচির সূচনা হয় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এতে অংশ নেন ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল আলম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. আসাদুজ্জামান, গাইনী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রাশিদা খানম, ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিট প্রধান অধ্যাপক নাসরিন আক্তারসহ চিকিৎসক, নার্স ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক নাটিকা পরিবেশিত হয়। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেন ডা. আরিফা শারমিন মায়া। এতে প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়ার উপসর্গ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের নানা দিক তুলে ধরা হয়।

বক্তারা বলেন, “সঠিক তথ্য ও সময়মতো সচেতনতা গড়ে তোলা হলে প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়াজনিত মাতৃমৃত্যু রোধ করা সম্ভব। গর্ভকালীন নিয়মিত চেকআপ ও ঝুঁকি নিরূপণই এর মূল চাবিকাঠি।”

প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া কী?
প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া হলো গর্ভকালীন একটি জটিল রোগ, যা উচ্চ রক্তচাপ ও অঙ্গপ্রতঙ্গের ক্ষতির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এটি বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। অনেক সময় পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এটি দেখা দেয়, তবে সময়মতো শনাক্ত হলে প্রতিরোধ সম্ভব।

‘Gestosis Score’ নামক একটি ঝুঁকি নির্ধারণ পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করা যায়। স্কোর ৩ বা তার বেশি হলে ওই মাকে প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ সময়ে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য কিছু ওষুধের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

বক্তারা দিবসটিকে ঘিরে সমাজজুড়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে মাতৃত্ব হয় নিরাপদ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পায় একটি সুস্থ জীবন।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন