শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

কর্ণাটকে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু, সংক্রমণ বাড়ায় সতর্কতা জারি

কর্ণাটকে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু, সংক্রমণ বাড়ায় সতর্কতা জারি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে কর্ণাটক রাজ্য সরকার সংক্রমণের ওপর নিবিড় নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বেঙ্গালুরুতে ৮৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি কোভিড-১৯–এ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন। তিনি নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বরাতে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি গত ১৩ মে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ১৭ মে মারা যান।

মৃত্যুর আগে নেওয়া কোভিড পরীক্ষার ফল শনিবার প্রকাশিত হয়, যেখানে দেখা গেছে তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

এনডিটিভি বলছে, রাজ্যজুড়ে বর্তমানে কোভিড সংক্রমণ আবারও কিছুটা বাড়ছে। শনিবার পর্যন্ত কর্ণাটকে মোট ৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩২ জনই বেঙ্গালুরু নগরীর বাসিন্দা।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিনেশ গুণ্ডু রাও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কোভিড ফিরে এসেছে— এমন সংবাদে মানুষ যেন ভয় না পান। সংবাদমাধ্যমকেও অনুরোধ করব, যেন তারা বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরে, অতিরঞ্জন না করে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। পাশের রাজ্য কেরালায় সংক্রমণ বাড়লেও সেটি মূলত বেশি সংখ্যক টেস্ট করার ফল বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট, বিশেষ কোনও বিধিনিষেধ বা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই”। তিনি নিশ্চিত করেন, রাজ্যে বর্তমানে কোভিড সংক্রান্ত কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও জীবনযাপন করতে পারেন।

এদিকে সাম্প্রতিক সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে ভাইরাসের নতুন রূপ থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিনেশ গুণ্ডু রাও। তার মতে, এটি হতে পারে জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট। মূলত এটি এর আগেও সিঙ্গাপুর, হংকং ও মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশে দেখা গেছে। তবে সেই দেশগুলোতেও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়নি।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন