সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনের দুর্নীতির ৬ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত মিরপুরে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফিফার টিকিট ঘোষণা: ২০২৬ বিশ্বকাপ ঘিরে প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ সম্ভব নয়: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম ম্যাচেই বাধা প্রকৃতি, বৃষ্টি শঙ্কায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ ৪০ বছরের রপ্তানি খাতে নজিরবিহীন সংকট দেখিনি: এ. কে. আজাদ যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করছেন কিছু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য
  • সকাল নাকি বিকাল – কোন সময় হাঁটা বেশি উপকারী?

    সকাল নাকি বিকাল – কোন সময় হাঁটা বেশি উপকারী?
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ব্যস্ত জীবনযাত্রার ভিড়ে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে হাঁটার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন – কখন হাঁটলে উপকারটা সবচেয়ে বেশি? সকাল, নাকি বিকাল? চলুন দেখি, এই দুই সময়ের হাঁটার সুবিধা ও ভিন্নতা কী।

    সকালের হাঁটা: দিন শুরুর প্রাণশক্তি
    সকালে হাঁটা শুধু শরীর নয়, মনের জন্যও চমৎকার। ঘুম থেকে উঠে সতেজ বাতাসে ২০–৩০ মিনিট হাঁটা শরীরের বিপাক ক্রিয়া (metabolism) বাড়ায়, মন ফুরফুরে করে তোলে। সকালের হাঁটার কিছু বিশেষ উপকারিতা হলো:

    বিশুদ্ধ অক্সিজেন: ভোরের বাতাস অপেক্ষাকৃত নির্মল, ধূলাবালি ও দূষণ কম থাকে।

    মানসিক প্রশান্তি: সূর্যোদয় দেখা, পাখির ডাক, আর নিস্তব্ধ পরিবেশ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

    অভ্যাস গড়ার সহজতা: সকালে সময় নির্ধারণ করা তুলনামূলক সহজ, অন্য কাজ কম থাকে।

    বিকালের হাঁটা: কর্মব্যস্ত দিনের শেষে রিফ্রেশমেন্ট
    যারা সকালে সময় পান না, তাঁদের জন্য বিকাল বা সন্ধ্যার হাঁটাও দারুণ উপকারী। দিনশেষে কিছু সময় হাঁটলে যেমন শরীরের ক্লান্তি দূর হয়, তেমনি মানসিকভাবে চাঙ্গা বোধ হয়। বিকালের হাঁটার সুবিধাগুলো হলো:

    পেশী ও জয়েন্ট আরও উষ্ণ থাকে: ফলে হাঁটার সময় ইনজুরির আশঙ্কা কম।

    স্ট্রেস রিলিফ: সারা দিনের টেনশন হালকা করতে বিকালের হালকা হাঁটা দারুণ কাজ করে।

    পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটার সুযোগ: এটি সামাজিক যোগাযোগেও সাহায্য করে।

    কোনটি বেছে নেবেন?
    যদি আপনার লক্ষ্য হয় ওজন কমানো বা স্বাস্থ্যকর রুটিন গড়ে তোলা – তবে সকালবেলা হাঁটা শুরু করতে পারেন। আর যদি সময় ম্যানেজ করা কঠিন হয়, বিকালের হাঁটা একেবারেই কম কার্যকর নয়।

    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো – নিয়মিত হাঁটা। সময় যেটাই হোক না কেন, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট brisk walking (দ্রুত হাঁটা) আপনার হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, ও মানসিক স্বাস্থ্যকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।

    শেষ কথা- সময় নয়, অভ্যাসটাই আসল। আপনি যেটা দীর্ঘদিন ধরে ধরে রাখতে পারবেন, সেটাই আপনার জন্য সেরা সময়।


    দৈএনকে/স
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন