শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

এই গরমের মধ্যো ত্বক থাকবে উজ্জ্বল

এই গরমের মধ্যো ত্বক থাকবে উজ্জ্বল
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

রোদ শরীর থেকে আর্দ্রতা কেড়ে নেয় এবং ত্বকের ক্ষতি করে। তীব্র গরমের এই সময়ে সতেজ, তারুণ্যময় চেহারা বজায় রাখা বেশ চ্যালেঞ্জেরই বলা যায়। তবে কিছু টিপস মেনে চললে এই গরমেও প্রাকৃতিক উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব। 

১.নিয়মিত ত্বক ম্যাসাজ করুন। অকাল বার্ধক্য রোধ করতেও এটি সহায়ক। রক্ত ​​সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে ম্যাসাজ এবং মৃত ত্বক অপসারণেও সহায়তা করে। এটি ত্বকের টিস্যুকে শক্ত করতে সাহায্য করে। 

২.ত্বক সতেজ রাখতে প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি ফেস প্যাক ব্যবহার করুন। মুলতানি মাটি বা গোলাপজলের মতো উপাদান ত্বক প্রশান্ত রাখতে সাহায্য করে। ময়েশ্চারাইজারের মতো ফেস প্যাকও নির্বাচন করুন ত্বকের ধরন অনুযায়ী। 

৩.শসা আমাদের ত্বক শীতল করে, অন্যদিকে অ্যালোভেরা হাইড্রেট রাখে ত্বক। ১টি শসা এবং ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। 

৪.প্রচুর পানি পান করতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য এই গরমে পানি খাওয়া খুব জরুরি। 

৫.দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে থাকলে ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায়। একটি ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন ত্বকের যত্নে। 

৬.ত্বকের নিস্তেজ ভাব ও ক্লান্তি কাটাতে হলুদ, মধু ও দইয়ের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। 

৭.দিনে অন্তত দুইবার মুখ ধুয়ে নিন। ত্বক থেকে ধুলা, ময়লা, ঘাম, তেল, ডে ক্রিম এবং মেকআপ দূর করতে সাহায্য করবে এটি।

৮.ডাবল ক্লিনজিং করতে পারেন ত্বক। এজন্য প্রথমে একটি অয়েল বেইজড ক্লিনজার দিয়ে ত্বকে ধুয়ে নিন। এরপর ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন। প্রথম ক্লিনজারটি সাধারণত মেকআপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে। যদি ত্বক খুব তৈলাক্ত বা ব্রণ-প্রবণ হয়, তাহলে ত্বকের জন্য গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড প্যাডও ব্যবহার করতে পারেন। দ্বিতীয় ক্লিনজারটি সর্বদা আপনার ত্বকের ধরনের জন্য উপযুক্ত হওয়া চাই। 

৯.সপ্তাহে অন্তত একবার ত্বকে স্ক্রাব ব্যবহার করুন। গরমে ঘাম ও তেল বেশি জমে ত্বকে। ফলে ত্বক দ্রুত বিবর্ণ হয়ে পড়ে। স্ক্রাবিংয়ের ফলে লোমকূপের ভেতরে জমে থাকা তেল ও ময়লা দূর হবে। পাশাপাশি দূর হবে ত্বকের মরা চামড়া। 

১০.গ্রীষ্মের তাপ এবং আর্দ্রতার মাত্রা ওঠানামা করার সাথে সাথে ত্বক মাঝে মাঝে শুষ্ক এবং কখনও কখনও তৈলাক্ত হয়ে যায়। হাইড্রেশনের মাত্রা সর্বত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্নে পানি সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন শুষ্ক ত্বক এবং ডিহাইড্রেটেড ত্বকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শুষ্ক ত্বক ত্বকের একটি ধরন, কিন্তু ডিহাইড্রেটেড ত্বক পানিশূন্যতার ফলে হয়।


দৈএনকে/জে,আ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন