বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

করলার বীজ খাওয়ার ক্ষতি: সচেতন না থাকলে বিপদ

করলার বীজ খাওয়ার ক্ষতি: সচেতন না থাকলে বিপদ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

করলা একটি তেতো স্বাদের সবজি হলেও এর পুষ্টিগুণ অনেক। নিয়মিত করলা খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী-বিশেষত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও হজম শক্তি বাড়াতে এটি কার্যকর। আমাদের দেশে করলা সাধারণত ভাজি করে খাওয়া হয়। তবে করলা কাটার সময় এর বীজ অনেক সময় থেকেই যায় এবং সেগুলো রান্নার সময়ও বাদ পড়ে না। অথচ করলার এই বীজ শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

তাই করলা রান্নার আগে এর বীজ আলাদা করে নেওয়া উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক করলার বীজ খেলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে:

১. হজমের সমস্যা
করলার বীজে থাকে লেকটিন নামক এক ধরনের প্রোটিন, যা অতিরিক্ত পেটে গেলে হজমের গোলযোগ তৈরি করতে পারে। এর ফলে দেখা দিতে পারে পেট ব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব কিংবা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা। ফলে করলার বীজ ফেলে দেওয়া উত্তম।

২. অ্যালার্জির ঝুঁকি
সব মানুষের জন্য না হলেও কিছু মানুষের শরীরে করলার বীজ অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। করলার বীজে থাকা ভিসিন উপাদানটি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, ফোলাভাব কিংবা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। তাই যাদের করলার প্রতি অ্যালার্জি আছে, তাদের অবশ্যই করলার বীজ এড়িয়ে চলা উচিত।

৩. গর্ভবতীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
গর্ভবতী নারীদের জন্য করলার বীজ সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, করলার বীজ জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় বিপজ্জনক। তাই গর্ভবতী নারীদের করলা খাওয়ার সময় অবশ্যই বীজ ফেলে রান্না করা জরুরি।

৪. ওষুধের সঙ্গে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া
ডায়াবেটিসসহ যেসব রোগে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে করলার বীজ সমস্যার কারণ হতে পারে। করলার বীজ রক্তে সুগারের মাত্রা আরও কমিয়ে দিতে পারে, ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণকারীদের জন্য এটি হতে পারে ক্ষতিকর।

উল্লেখ্য, করলার স্বাস্থ্যগুণ অনেক, তবে এর বীজ খাওয়ার আগে সচেতন থাকা জরুরি। হজম সমস্যা, অ্যালার্জি, গর্ভাবস্থার জটিলতা বা ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার মতো ঝুঁকি এড়াতে করলার বীজ অবশ্যই বাদ দিয়ে রান্না ও খাওয়া উচিত।


এন কে/বিএইচ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ