‘গিভ অ্যান্ড টেক’-এ নেই ইমরান, শুধু দেশের স্বার্থে আলোচনার পক্ষে


যেকোনো ব্যক্তিগত সমঝোতা কিংবা ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ চুক্তির সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার দল কোনো আলোচনা করলে তা শুধুমাত্র দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই হবে।
পিটিআই চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সাক্ষাতের পর এ তথ্য জানান সিনেটর আলী জাফর।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় ইমরান খান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “আমার নীতিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের জায়গা নেই। দেশ ও জনগণের কল্যাণই আমার একমাত্র বিবেচ্য বিষয়।”
২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধী দলের অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন ইমরান। পরে ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়েরের পর, ৭১ বছর বয়সী ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দি আছেন।
এদিকে, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জাফর বলেন, খান স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি কখনও নিজের জন্য কোনো ছাড় চাননি। যদি তিনি ইচ্ছা করতেন, তাহলে অনেক আগেই তা করতে পারতেন।
এর আগে ইমরান খানের বোন আলেমা খান দেশের ‘অদৃশ্য শক্তিগুলোকে’ ‘দেয়া-নেয়ার’ ব্যবস্থার মাধ্যমে সংলাপে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানোর পর এই বিবৃতি দেয়া হলো।
যেদিন আলেমা এই আবেদন জানান, সেদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছিলেন যে প্রস্তাবটি বিবেচনা করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে জাফর সাংবাদিকদের আরও বলেন, খান বলেছেন, ‘তিনি দেশের ঐক্যের স্বার্থে কথা বলতে প্রস্তুত। জোর দিয়ে বলেছেন সংলাপের জন্য তার দরজা সবসময় খোলা।’
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা আরও মন্তব্য করেন যে, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের নীরবতা তিনি আর সহ্য করবেন না।
এছাড়া তার আইনি মামলাগুলোর দ্রুত শুনানির আহ্বান জানিয়ে ন্যায়বিচারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন ইমরান। বলেন, ‘আমি কেবল ন্যায়বিচার চাই।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরও নিশ্চিত করেছেন যে, দলটি একটি প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছে এবং পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে একটি বিস্তারিত কৌশল প্রকাশ করা হবে।
এছাড়াও, তিনি পিটিআই নেতৃত্বকে আন্দোলনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
