মুম্বাইকে হারিয়ে ১১ বছর পর আইপিএল ফাইনালে পাঞ্জাব


দীর্ঘ ১১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আইপিএলের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শক্তিশালী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরের শিরোপা লড়াইয়ে পা রাখে দলটি।
রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে টার্গেট ছিল ১৭৬ রান। সুনীল নারাইন ও শিখর ধাওয়ানের কার্যকরী ইনিংসে ভর করে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাঞ্জাব। ম্যাচ জয়ের পর উচ্ছ্বসিত শিবির এখন তাকিয়ে ৩ জুনের ফাইনালের দিকে।
ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসের প্রতিপক্ষ হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু—যারা নিজেদের সেমিফাইনাল ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জায়গা করে নেয় চূড়ান্ত পর্বে।
এই ম্যাচটি শুধু শিরোপার জন্যই নয়, বরং ইতিহাস গড়ার মঞ্চও হতে যাচ্ছে পাঞ্জাব কিংসের জন্য, যারা এখনো পর্যন্ত একবারও আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
আহমেদাবাদের বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে নতুন ইতিহাস রচনা করল পাঞ্জাব কিংস। শক্তিশালী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দেওয়া ২০৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করে জয় তুলে নিয়ে ১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দলটি।
মুম্বাই প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করে ২০৩ রান। দলের পক্ষে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন জনি বেয়ারস্টো (৩৮), তিলক ভার্মা (৪৪) ও সূর্যকুমার যাদব (৪৪)। আইপিএলের ইতিহাসে এত দিন পর্যন্ত ২০০ রানের ওপরে লক্ষ্য তাড়া করে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জয়ের নজির ছিল না কোনো দলের।
তবে সেই রেকর্ড এবার ভেঙে দিল পাঞ্জাব কিংস। আর এই ঐতিহাসিক জয়ের মূল নায়ক ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। চাপের মুহূর্তে অসাধারণ ব্যাটিং করে মাত্র ৫২ বলে ৮৭ রানের এক ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন তিনি। তার শান্ত নেতৃত্ব ও আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে পাঞ্জাব।
প্রসঙ্গত, আগের মৌসুমেই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল শিরোপা জিতিয়েছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। এবার নতুন দলে, নতুন চ্যালেঞ্জে নেতৃত্ব দিয়ে আবারও দলকে তুলেছেন ফাইনালে।
আগামী ৩ জুনের ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুটি দলই আইপিএলের ইতিহাসে এখনো শিরোপার স্বাদ পায়নি। তাই এই ফাইনাল থেকেই মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়ন, যা অপেক্ষাকৃত নিরপেক্ষ ভক্তদের জন্যও বাড়তি উত্তেজনার বার্তা দিচ্ছে।
