ঈদে মাংস খেয়ে অ্যাসিডিটি? ঘরোয়া উপায়ে মিলবে সমাধান


ঈদের আনন্দ মানেই নানা রকম খাবারদাবার—মাংস, পোলাও, কোরমা, পায়েস, সেমাই। কিন্তু এসব ভারী ও তেল-মসলা ভর্তি খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে এক পরিচিত সমস্যা—অ্যাসিডিটি।
তবে আতঙ্কিত না হয়ে কিছু ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করলে সহজেই এই অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নিই কার্যকর কিছু সমাধান:
* শসা ও তরমুজ
এই দুটি ঠান্ডা ধরনের ফল পাকস্থলীর অতিরিক্ত গ্যাস ও অম্লতা কমাতে সাহায্য করে। শসা কেটে সরাসরি বা তরমুজের রস বানিয়ে খেতে পারেন।
* তুলসি পাতা
তুলসি প্রাকৃতিক হজম সহায়ক। অ্যাসিডিটির সময় ২-৩টি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন বা তুলসির চা তৈরি করে দিনে ১-২ বার পান করুন।
* লেবু পানি
লেবু দেখতে অ্যাসিডিক হলেও পাকস্থলীতে এটি ক্ষারীয় প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ভালো ফল মেলে।
* কলা
পাকা কলা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে। এটি পাকস্থলীর গ্যাস ও অম্লতা কমাতে সাহায্য করে।
* জিরা পানি
১ চা চামচ জিরা পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খালি পেটে পান করুন। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও অ্যাসিড কমায়।
* আদা
আদা গ্যাস ও বমিভাব কমাতে কার্যকর। সামান্য আদা কুচি দিয়ে তৈরি চা অথবা আদার রস খেলে উপকার পাবেন।
* ঠান্ডা দুধ
বরফ ছাড়া ঠান্ডা এক গ্লাস দুধ ধীরে ধীরে পান করুন। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড অ্যাসিডিটিকে প্রশমিত করে।
* যা এড়িয়ে চলবেন:
. অতিরিক্ত ঝাল ও মশলাদার খাবার
. চা, কফি ও কোল্ড ড্রিংক
. খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া
. একবারে বেশি খাওয়া
সতর্কতার সঙ্গে খাবার গ্রহণ করলে ঈদের খাবারে ভোগ না করে উপভোগ করা সম্ভব। তবে সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
