চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে পুনরায় শুরু বহির্বিভাগ সেবা


দীর্ঘ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে বৃহস্পতিবার আংশিকভাবে চিকিৎসাসেবা চালু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত হাসপাতালটিতে সকাল ৯টা থেকে বহির্বিভাগে টিকিট প্রদান শুরু হয়।
তবে এখনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ ছাড়া অন্য সব বিভাগ বন্ধ রয়েছে, যার ফলে রোগীদের দুর্ভোগ পুরোপুরি কাটেনি।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা জানিয়েছেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে সীমিত পরিসরে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যের অবস্থান দেখা গেছে। একজন আনসার সদস্য জানান, আজ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বহির্বিভাগ চালু হয়েছে। শনিবার থেকে সব সেবা চালু হওয়ার কথা।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য কয়েক শত রোগী অপেক্ষা করছিল। এরপর তাদেরকে আংশিক সেবা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৫ মে দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে একটি বৈঠক চলাকালে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া ও অবহেলার অভিযোগ এনে বিষপান করেন সেখানে চিকিৎসাধীন চার জুলাইযোদ্ধা।
বিষ পানকারীরা হলেন—শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (আবু তাহের)। পরে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা এখন শঙ্কাযুক্ত।
গত ২৮ মে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ-মারামারির ঘটনা ঘটে। এর জেরে দেশের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যায়। ভর্তি রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।
এ ঘটনায় মানববন্ধন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে হাসপাতালের সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী ছুটিতে রয়েছেন। আর ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় জানে আলম মৃধাকে।
জানা গেছে, ঈদের ছুটির আগে জুলাই আন্দোলনে আহত ৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া অন্য সবাই হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ জানান—কেউ হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে যাননি।
সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ছাড়পত্র দিতে বলেছে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম বলেন, ‘হাসপাতালে অবস্থান করা জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা আমাদের কোনো তথ্য দিচ্ছেন না।
