শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

‘এই সংঘাত অনিবার্য ছিল’—ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে ট্রাম্পের মন্তব্য

‘এই সংঘাত অনিবার্য ছিল’—ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে ট্রাম্পের মন্তব্য
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও সংঘাত শুরু হয়েছে, তা নিয়ে আগে থেকেই অবগত ছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই সংঘাত একেবারে আকস্মিক নয় এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরেই পরিস্থিতি ঘনিয়ে ওঠার আভাস পেয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও জানান, পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি এবং ইরানের জন্য এখনো পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রয়েছে। তিনি বলেন, “চাইলেই তারা আলোচনায় ফিরতে পারে। এখনো সময় আছে শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় আসার।”
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে মুখ খুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই সংঘাত একেবারে অপ্রত্যাশিত নয় এবং তিনি অনেক আগেই এর আভাস পেয়েছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা সব আগেই জানতাম। আমি চেয়েছিলাম ইরান যেন অপমান, ধ্বংস ও প্রাণহানির মুখোমুখি না হয়। সমঝোতায় পৌঁছাতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি ইরানকে রক্ষা করতে চেয়েছিলাম, কারণ আমি বিশ্বাস করি—দুই পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।”

রয়টার্সের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের পাশে থেকে তাদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখবে কি না— এমন প্রশ্নে ট্রাম্প সরাসরি কোনো প্রতিশ্রুতি না দিলেও বলেন, “আমরা ইসরায়েলের খুব ঘনিষ্ঠ মিত্র। আমরা তাদের এক নম্বর সহযোগী। দেখা যাক কী হয়।”

গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোরে, ইসরায়েল বড় পরিসরের সামরিক অভিযান চালায় ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে। ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর (IAF) এই হামলায় ৭৮ জন নিহত ও ৩০০ জনের বেশি আহত হন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ও সামরিক বাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করেই আঘাত হেনেছে। এএফপি জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ১০০টি সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরান এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই পাল্টা জবাব দেয় ইরান। শুক্রবার রাতেই ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান শুরু করে তারা। এতে ইসরায়েলের এক নাগরিক নিহত এবং ৪১ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ভিডিওবার্তায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি যতদিন থাকবে, ততদিন ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ চলবে।” পরদিন শনিবার ইরানের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের প্রতিরোধ অভিযান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’-ও অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান থাকবে।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন