“পাঁচবার সেফ জোনে যেতে হয়েছে”—ইরানি হামলার রাতে বললেন মার্কিন দূত


ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলে রাতভর আতঙ্কে কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবির। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার রাতের ওই হামলার সময় তাকে অন্তত পাঁচবার আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়েছিল।
বার্তা সংস্থা সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হাকাবি বলেন, “রাতটা ছিল চরম উত্তেজনাপূর্ণ। প্রতিটি সাইরেন বেজে উঠলেই আমাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হচ্ছিল।”
ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ হামলায় তেল আবিব ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয় এবং সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি কূটনৈতিক ব্যক্তিদেরও সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মাইক হাকাবি আরও জানান, “এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে এই অঞ্চল কতটা অস্থিতিশীল এবং উত্তেজনার মাত্রা কত দ্রুত বাড়তে পারে।”
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরের রাতকে ‘তীব্র ও অস্বস্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি। শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন,
“ইসরায়েলের জন্য এটি ছিল অত্যন্ত কঠিন এক রাত।”
হাকাবি আরও জানান, প্রতি শনিবার ইহুদিদের ধর্মীয় বিশ্রামের দিন হওয়ায় সাধারণত সবকিছু শান্ত থাকে। তবে এই সপ্তাহে সেই স্বাভাবিকতা ভেঙে গেছে। তার ভাষায়, “সব শান্ত থাকা উচিত ছিল, কিন্তু মনে হচ্ছে তা আর সম্ভব নয়।”
আগাম প্রস্তুতিতে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আগেভাগেই ব্যবস্থা নেয়। সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার দু’দিন আগেই, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অপ্রয়োজনীয় মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মাইক হাকাবি কে?
মাইক হাকাবি হচ্ছেন আর্কানসাসের সাবেক গভর্নর, যিনি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়নে জেরুজালেমে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পান।
তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের একজন কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তার অতীত মন্তব্য নিয়ে একাধিক বিতর্কও রয়েছে—একবার তিনি বলেছিলেন, “ফিলিস্তিনি বলে কিছু নেই।”
