ইসরায়েলের সাথে যোগসাজশে ইরানে ফের ক্ষমতা প্রত্যাশী এক নেতার পরিকল্পনা


ইরানের সাবেক শাহের পুত্র রেজা পাহলাভি ইসরায়েল ও পশ্চিমা শক্তির সমর্থন পাচ্ছেন—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে। তিনি ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করছেন।
রেজা পাহলাভি, ইরানের ক্ষমতাচ্যুত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলাভির পুত্র, বর্তমানে ইরানে চলমান অস্থিরতা ও সংঘাতের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনী যেন ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সমর্থন বাদ দিয়ে জনগণের পক্ষে দাঁড়ায়। এছাড়া, তিনি ইরান ও ইসরায়েলের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পক্ষে মত দিয়েছেন, যা শাহ আমলের সময় ছিল।
রেজা পাহলাভির এই পদক্ষেপকে সমর্থন ও উৎসাহ দিচ্ছে ইসরায়েল ও পশ্চিমা মহল। তারা মনে করছেন, ইসলামিক রিপাবলিকের পতনই মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিয়ে আসবে। অপরদিকে, সমালোচকরা বলছেন, রেজা পাহলাভিতে বিনিয়োগ মানে হচ্ছে বিদেশিদের মাধ্যমে আবারও অভ্যুত্থান ও অরাজকতা চাপিয়ে দেওয়া।
সম্প্রতি তিনি সামাজিক মাধ্যমে ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে যে ভাষায় কথা বলছেন, তা অনেকটাই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভাষণের সাথে মিলে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, "আলী খামেনি ও ইসলামী প্রজাতন্ত্রই এই অস্থিরতা ও যুদ্ধের কারণ।" তার দাবি, এটা "ইরান ও তার জনগণের লড়াই নয়, এটা হচ্ছে খামেনি ও ইসলামী সরকারের লড়াই।"
রেজা পাহলাভির এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং ইরানের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করেছে।
ইরানের সাবেক শাহের পুত্র রেজা পাহলাভি ইসরায়েল ও পশ্চিমা শক্তির সমর্থন পাচ্ছেন—এমন তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে। তিনি ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ইসরায়েলে তার সফর, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও গোয়েন্দা মন্ত্রী গিলা গামলিয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ, এবং হোলোকাস্ট স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন । তিনি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের জন্য "সাইরাস চুক্তি" প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন ।
রেজা পাহলাভি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ইরানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ইসরায়েলি-আমেরিকান কাউন্সিলের সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়ে ইরানে বেসামরিক অবাধ্যতা আন্দোলনকে অর্থায়ন করার জন্য ইসরায়েলিদের প্রতি আহ্বান জানান ।
তবে, তার এই পদক্ষেপ ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ইরানের বেশিরভাগ জনগণ ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে, কিন্তু রেজা পাহলাভির ইসরায়েলপন্থী অবস্থান তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে ।
অতএব, রেজা পাহলাভির ইসরায়েল ও পশ্চিমা শক্তির সমর্থন ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জটিলতা সৃষ্টি করছে, এবং তার এই পদক্ষেপের ভবিষ্যৎ পরিণতি অনিশ্চিত।
ইরানের ক্ষমতাচ্যুত শাহের পুত্র প্রিন্স রেজা পাহলাভি বর্তমানে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আলোচিত এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকের পতনের জন্য আন্দোলন করছেন এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন চাইছেন। বিশেষ করে, তিনি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইরানে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য সহায়তা কামনা করেছেন। এটি ইরান সরকার ও তার সমর্থকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
প্রিন্স রেজা পাহলাভি ইরানে চলমান অস্থিরতা ও প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, "ইসলামিক রিপাবলিকের পতনই ইরানের জনগণের মুক্তির পথ।" তিনি ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আজকের দিনে বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে নয়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।"
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে অনেকেই তাকে বিদেশি শক্তির এজেন্ট হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে, তিনি নিজেকে ইরানের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করেন এবং বলেন, "আমার লক্ষ্য ইরানের জনগণের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।"
প্রিন্স রেজা পাহলাভির এই পদক্ষেপ ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকের পতনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন চাইছেন, যা দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
