ইরানে চলমান উত্তেজনার মধ্যে দেশের সব বিমানবন্দর ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা


ইরানের বিমানবন্দর ও এয়ার নেভিগেশন কোম্পানি ঘোষণা করেছে, জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে দেশজুড়ে সমস্ত বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। এই স্থগিতাদেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ ইরানের আকাশসীমা সুরক্ষায় বিশেষ সতর্কতা হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যাতে আকাশসীমায় যেকোনো ধরনের হুমকি থেকে বিমানগুলোকে রক্ষা করা যায়। দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রী ও এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে সংশয় ও অব্যবস্থার সৃষ্টি হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিমানের অপারেটর ও পরিবহন সংস্থাগুলোকে ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও সীমিত করে দেয়া হতে পারে বলে খবর রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সংকেত এবং নিরাপত্তার জন্য একটি প্রি-এম্পটিভ ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বিষয়টি নজরে রেখেছে এবং পরিস্থিতি শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে।
এখনো স্পষ্ট নয়, এই ফ্লাইট স্থগিতাদেশ কতদিন পর্যন্ত চলবে এবং এর ফলে ইরানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণে কী ধরনের প্রভাব পড়বে। তবে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কোম্পানি সকল যাত্রী ও নাগরিককে বিমানবন্দর এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে এবং পরবর্তী আপডেটের জন্য অফিসের অফিসিয়াল মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুরোধ করেছে।
অন্যদিকে, ইরাক তার আকাশসীমা বন্ধ রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা পর্যন্ত আকাশসীমা ও সব ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আঞ্চলিক উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে, জর্ডান তাদের আকাশসীমা আবারো চালু করেছে। একদিন বন্ধ থাকার পর দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আকাশসীমা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জর্ডানের সিভিল এভিয়েশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান হাইথাম মিস্তো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টা থেকে জর্ডানের আকাশসীমা পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়েছে।
