"চাইলেই ইরান-ইসরায়েল চুক্তি সম্ভব: ট্রাম্পের দাবি"


মধ্যপ্রাচ্য যখন ইরান-ইসরায়েলের উত্তপ্ত সংঘাতে ফুঁসছে, তখন হোয়াইট হাউসের সাবেক বাসিন্দা ডোনাল্ড ট্রাম্প নাটকীয় এক ঘোষণা দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শনিবার রাতে দেওয়া এক বিস্ফোরক পোস্টে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, “ইরানে হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ঘটনায় আমাদের কিছুই করার নেই।”
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সাহসী ও পরিকল্পিত বিমান হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলে যখন ফিসফাস উঠেছে—এই হামলার পেছনে কী যুক্তরাষ্ট্রের ছায়া রয়েছে? তখনই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য অনেকটাই প্রতিরক্ষামূলক, আবার অনেকের চোখে কৌশলগত—কারণ এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো মার্কিন সংশ্লিষ্টতা বিশাল কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে। তেহরানও ইতোমধ্যে আঙুল তুলেছে ‘পশ্চিমা মদদদাতাদের’ দিকে, যদিও সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম নেয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পোস্ট একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চায় এই সংঘাত থেকে, তেমনি তিনি নিজেও রাজনৈতিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন বাইডেন প্রশাসনের যেকোনো সম্ভাব্য পদক্ষেপ থেকে।
মধ্যপ্রাচ্য যখন বিস্ফোরণের প্রান্তে, তখন ট্রাম্পের এমন প্রকাশ্য ঘোষণাকে অনেকেই দেখছেন আগাম নিরাপত্তা বলয় তৈরির একটি প্রচেষ্টা হিসেবে—যেখানে তিনি বার্তা দিতে চাচ্ছেন, “এই আগুনে ঘি ঢালার কাজটা আমি করিনি।”
শনিবার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ইরানে ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা এ ঘটনায় জড়িত নই।”
তবে ইরানের হুমকির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “যদি ইরান আমাদের ওপর যেকোনো ধরনের কিংবা যেকোনো পদ্ধতিতে হামলা চালায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এমন প্রতিক্রিয়া জানাবে যা এর আগে কেউ কখনো দেখেনি।”
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প যেন আগাম সতর্ক বার্তা দিয়ে রাখলেন—যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে আনলে পাল্টাঘাত হবে ভয়াবহ।
