ডিজিটাল অবকাঠামোতে ১৩ বিলিয়ন ডলার ঢালছে অ্যামাজন, লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া


এআই প্রযুক্তিতে অ্যামাজনের বিনিয়োগ যেন থামছেই না। বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি এবার জানাল অস্ট্রেলিয়ায় আগামী ৫ বছরে (২০২৫ থেকে ২০২৯) তাঁরা ১২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এআই খাতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এআই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা সেন্টার অবকাঠামোর সম্প্রসারণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করা হবে এ অর্থ।গত শনিবার (১৪ জুন) এক ব্লগ পোস্টে এমনটাই জানিয়েছে জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন।
স্থানীয় মুদ্রায় বিনিয়োগের অঙ্কটা ২০ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার, যেটা বাংলাদেশী মুদ্রায় দাঁড়াবে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এটিই দেশটিতে অ্যামাজনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে। মূলত সার্ভারের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট সিস্টেম দাঁড় করাতেই ব্যয় করা হবে এই অর্থ।
এআই প্রযুক্তিতে অ্যামাজনের বিনিয়োগ থামছেই নাএআই প্রযুক্তিতে অ্যামাজনের বিনিয়োগ থামছেই না
এর পাশাপাশি অ্যামাজন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত নতুন তিনটি সৌরশক্তি কেন্দ্রেও বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে। কেন্দ্র তিনটি থেকে ১৭০ মেগাওয়াট পরিমাণ সৌরচালিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে তাঁরা।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই এআই প্রযুক্তির অবকাঠামো নির্মাণে আমেরিকায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে অ্যামাজন। এর মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে পেনসিলভানিয়ায় ডেটা সেন্টার অবকাঠামোর সম্প্রসারণ এবং ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে ক্লাউড কম্পিউটিং ও এআই অবকাঠামোর উন্নয়ন করবে বলে প্রতিষ্ঠানটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে জেনারেটিভ এআই ও ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ডেটা সেন্টার অবকাঠামো খাতে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে মাইক্রোসফট, অ্যামাজন ও গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। এআই প্রযুক্তি পরিচালনায় জন্য প্রয়োজন হয় উচ্চ সক্ষমতার ডেটার সেন্টারের, ফলে সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি জগতে বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ডেটা সেন্টার খাত।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
দৈএনকে/জে .আ
