ফাত্তাহ-১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রে জবাব দিল ইরান


চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত একের পর এক পাঁচটি উচ্চমাত্রার উত্তেজনার ধাপ অতিক্রম করেছে। এতে দুই দেশ যেন তাদের সামরিক শক্তির এক বিশাল প্রদর্শনীতে নেমেছে, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র বহরের ব্যবহারে।
ইরান ইতোমধ্যে একাধিক শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে তেল আবিব, জেরুজালেম ও হাইফাসহ কয়েকটি কৌশলগত শহরে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। এসব হামলা ইসরায়েলের নিরাপত্তা কাঠামোকে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এবার ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) দাবি, ইসরায়েলের দিকে ভয়ংকর ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহ-১ নিক্ষেপ করেছে তারা। খবর বিবিসির।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ইরান যখন ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল, তখনও তারা বেশ কয়েকটি ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। তবে চলমান সংঘাতে সম্ভবত এই প্রথম ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান।
২০২৩ সালে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করেন।
আইআরজিসি এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘ইসরায়েল বিধ্বংসী’ বলে উল্লেখ করেছে। এটি উন্মোচনের সময় ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বিশাল ব্যানার টাঙানো হয়েছিল, যেখানে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল: ‘৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিব।’
অবশ্য, আইআরজিসি ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘হাইপারসনিক’ হিসেবে দাবি করলেও সামরিক বিশ্লেষকেরা এর প্রকৃত হাইপারসনিক সক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
অতি উচ্চগতির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে এমন গতিতে আঘাত হানতে পারে যে, বর্তমান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা প্রতিহত করতে পারে না। এমনকি সাড়া দেওয়ার আগেই তা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথে দিকও পরিবর্তন করতে পারে।
