ট্রাম্প-মোদি ফোনালাপ: আঞ্চলিক নিরাপত্তা, পাকিস্তান ও বৈশ্বিক সংঘাত নিয়ে আলোচনা


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে টেলিফোনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয় বলে বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন। এছাড়া চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।
মোদি ও ট্রাম্প ভবিষ্যতেও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এই ফোনালাপ হয় বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
ফোনালাপে দুই নেতা ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘর্ষ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তবে প্রায় ৩৫ মিনিটের বড় অংশজুড়ে কথা হয় পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট মোদিকে ফোন করে সমবেদনা জানান এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের আশ্বাস দেন ট্রাম্প। এরপর এটাই তাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিস্তারিত আলোচনা।
টেলিফোন আলাপে মোদি জানান, ৯-১০ মে রাতে ভারত পাকিস্তানের হামলার কড়া জবাব দেয়, যেখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ভারতের ‘দৃঢ় প্রতিক্রিয়ায়’ পাকিস্তান সামরিক অভিযান বন্ধে বাধ্য হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ফোনালাপে মোদি ট্রাম্পকে নিশ্চিত করেন যে, পুরো পরিস্থিতিতে কোনো সময়ই ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি কিংবা মধ্যস্থতা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
পররাষ্ট্রসচিব মিশ্রি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ভারতের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।”
উল্লেখ্য, এই আলোচনার কিছু সময় পরেই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। এই পটভূমিতে মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপ আন্তর্জাতিকভাবে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে।
