তাইজুলের ঘূর্ণিতে এল প্রথম সাফল্য


অলআউট হওয়ার পর বাংলাদেশের দেওয়া স্বল্প রানের জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন। নতুন মুখ লাহিরু উদারা এবং তরুণ ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ধীরে ধীরে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। এই উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৭ রান, যা দেখে মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা স্বচ্ছন্দেই চাপে পড়বে না। তবে অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম নিজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ দেন ঠিক তখনই। বাঁহাতি এই স্পিনার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ভেঙে দেন উদ্বোধনী জুটি, ফিরিয়ে দেন লাহিরু উদারাকে। তার এই ব্রেকথ্রু দলের জন্য এনে দেয় স্বস্তি, আর ম্যাচেও ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশকে।
নিসাঙ্কার চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন লাহিরু উদারা। শুরুর দিকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখালেও, একটি অযথা শট খেলতে গিয়ে বড় ভুল করেন এই অভিষিক্ত ব্যাটার। তাইজুল ইসলামের করা বলে তুলে মারতে গিয়ে নিজেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন। ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি, আর সেই সঙ্গে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
৪৯৫ রানে থামল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশ তাদের ইনিংসকে পাঁচশ রানের গণ্ডি ছোঁয়াতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ দুই ব্যাটারের প্রচেষ্টায় লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ইনিংসটি স্থায়ী হয় মাত্র ১৬ বল এবং এতে যোগ হয় মাত্র ১১ রান। হাসান মাহমুদ কিছুক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকলেও, নাহিদ রানা টিকতে পারেননি। আসিথা ফার্নান্ডোর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানেই ফিরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৯৫ রানে, হাসান মাহমুদ অপরাজিত থাকেন ৭ রানে।
শ্রীলঙ্কার বোলিং নজর কাড়ে
শ্রীলঙ্কার পেসার আসিথা ফার্নান্ডো ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার। তিনি ৮৬ রানে ৪ উইকেট নেন। স্পিন বিভাগে উজ্জ্বল ছিলেন মিলান রত্নায়েকে, ৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। থারিন্দু রত্নায়েকে ১৯৬ রান খরচায় শিকার করেন ৩টি উইকেট।
লম্বা ইনিংসের পর ধস নামে দ্বিতীয় দিনের শেষে
দ্বিতীয় দিনটা ছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের নিয়ন্ত্রণে। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস মিলে গড়েছিলেন শতাধিক রানের জুটি, যা দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়েছিল অনেক দূর। তবে দিনের শেষ বিকেলে, প্রায় দুই ঘণ্টার বৃষ্টিবিঘ্নের পর খেলা শুরু হলে চিত্র বদলে যায়।
৪৫৮ রানে ভাঙে মুশফিক-লিটনের জুটি। মুশফিক ১৬৩ রানে ফিরলে ধাক্কা খায় দল। এরপর লিটনও ফিরে যান ৯০ রানে। এর পরপরই মিলান রত্নায়েকে টানা তিন ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান এবং শেষ সেশনে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরান।
আজ তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করেছিল, লক্ষ্য ছিল পাঁচশ রানে পৌঁছানো। তবে সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ৪৯৫ রানেই শেষ হয় ইনিংস।
