মেসির ফিটনেস নিয়ে নিশ্চিন্ত করলেন মাশ্চেরানো

ইন্টার মায়ামির অনুশীলনে হঠাৎই কিছুটা অস্বস্তিকর মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন লিওনেল মেসিকে হ্যামস্ট্রিংয়ে হাত দিয়ে থামতে দেখা যায়। তার অভিব্যক্তিতে ছিল অস্বস্তি, যা সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ ছড়ায় সমর্থকদের মধ্যে। সবাই ধারণা করতে শুরু করে—মেসি কি আবারও চোটে পড়েছেন? তবে এসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্বস্তির খবর দিয়েছেন দলের কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো।

তিনি নিশ্চিত করেছেন, মেসির কোনো গুরুতর সমস্যা নেই। পুরোপুরি ফিট রয়েছেন তিনি এবং আসন্ন ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এ’ এর দ্বিতীয় ম্যাচে পোর্তোর বিপক্ষে খেলতে তৈরি। মাশ্চেরানোর ভাষায়, “মেসি ভালো আছে। অনুশীলনের সময় ছোট একটা মুহূর্ত ছিল, কিন্তু সেটি গুরুতর কিছু নয়। সে মাঠে নামতে প্রস্তুত।”

এই আশ্বাসের পর কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন মেসির ভক্তরা।
সকালের অনুশীলনে এক মুহূর্তে দেখা যায় লিওনেল মেসি বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে হাত দিচ্ছেন, যা সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তা ছড়ায় ভক্তদের মাঝে। অনুশীলনের মাঝপথে তাকে কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে দেখা যায়। সেই দৃশ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে, যা বাড়িয়ে তোলে জল্পনা-কল্পনা—আবারও কি ইনজুরি ঝুঁকিতে পড়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক?

তবে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে রসিকতা করেন মাশ্চেরানো। তিনি বলেন, “ক্যামেরা একদম সামনে ছিল… মানুষ তো মাঝে মাঝে একে অপরকে ছুঁতেই পারে।” এরপর তিনি আশ্বস্ত করে যোগ করেন, “লিও পুরোপুরি ঠিক আছে। সে সম্পূর্ণ অনুশীলন করেছে এবং আগামীকাল ম্যাচে খেলবে।”

সাম্প্রতিক সময়ে মেসির ক্যারিয়ারে হালকা ইনজুরি বা অস্বস্তির মুহূর্ত আগেও দেখা গেছে, বিশেষ করে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়েও এমন শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে সেসব ক্ষেত্রে মাঠে নেমে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছেন তিনি। পুরো ম্যাচ খেলেছেন, দিয়েছেন সেরা পারফরম্যান্স।

পোর্তোর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসির মাঠে নামা যে বড় স্বস্তির খবর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আল আহলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করার পর এবার জয় পেতে হলে মেসির উপস্থিতিই হতে পারে বড় পার্থক্য।

আটলান্টা সফরের আগে নিজের হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করে সামাজিক মাধ্যমেও ফিটনেস নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন মেসি। তার উপস্থিতি মাঠে যেমন অনুপ্রেরণা জোগায়, তেমনি দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ। এখন দেখার বিষয়, পোর্তোর বিপক্ষে তিনি কতটা ছন্দে থাকেন এবং কীভাবে ইন্টার মায়ামিকে জয়ে নেতৃত্ব দেন।