বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

পরমাণু স্থাপনায় হামলা: যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইএইএ’র হস্তক্ষেপ দাবি ইরানের

পরমাণু স্থাপনায় হামলা: যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইএইএ’র হস্তক্ষেপ দাবি ইরানের
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-র হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ নেটওয়ার্ক SNN-এর বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামলায় পারমাণবিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের আশঙ্কায় বিষয়টি তদন্তের জন্য IAEA-কে আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

ইরানের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু স্থাপনার নিরাপত্তা রক্ষার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। হামলায় ফরদো, নাতানজ ও ইসফাহান—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

তেহরান মনে করছে, আইএইএ’র একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত এই হামলার প্রকৃতি ও সম্ভাব্য পারমাণবিক ঝুঁকি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবগত করতে সহায়ক হবে।

এসএনএন নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসিকে চিঠি লিখেছেন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান মোহাম্মদ এসলামি। চিঠিতে তিনি শনিবার (২১ জুন) রাতে মার্কিন হামলার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

মোহাম্মদ এসলামি মার্কিন পদক্ষেপের নিন্দা জানাতে ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আইএইএ প্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি রাফায়েল গ্রোসির ‘নিষ্ক্রিয়তা ও দুষ্কর্মে সহায়তার’ জন্য সমালোচনা করেন। বলেন, ইরানের পক্ষ থেকে ‘যথাযথ আইনি ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।

এর আগে রাফায়েল গ্রোসি রোববার (২২ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জানান, ইরানের জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমবার আইএইএর বোর্ড অব গভর্নররা জরুরি বৈঠকে বসবেন।

এদিকে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এই হামলাকে চলমান সংঘাতের তীব্রতার ‘ভয়াবহ বৃদ্ধি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর বিবিসির।

গুতেরেস বলেছেন, এখন সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর ফলে ‘বেসামরিক নাগরিক, মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের’ জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।

ওই পোস্টে গুতেরেস লিখেছেন, এই মুহুর্তে ‘শুধুমাত্র কূটনীতির মাধ্যমে’ এই সমস্যার সমাধান করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।


ইরানে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দ্বিতীয় দফায় ইরানকে হুমকি দিয়েছেন তিনি। ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ইরান এই হামলার জবাবে পাল্টা হামলা করলে ‘আরো তীব্র মাত্রার’ হামলা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্প এক পোস্টে লিখেছেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের পাল্টা হামলা করলে তার জবাব এর চেয়ে বহুগুণ বেশি শক্তি দিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার দাবি এসব পারমাণবিক স্থাপনা ধব্বংস করে দেওয়া হয়েছে।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন