কম ঘোরা দেশ পালাও, কিন্তু সৌন্দর্যে অপরূপ—কেন যাবেন?


বিশ্বের বহু দেশ এখন অতিরিক্ত পর্যটকের চাপে নাজেহাল। কিন্তু পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র পালাও এখনো অনেকটাই অচেনা। খুব কম মানুষই এই দেশ ঘুরতে যান। অথচ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নীল পানি আর সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই দেশটি পর্যটকদের জন্য এক দুর্দান্ত গন্তব্য হতে পারে।
পালাও মাইক্রোনেশিয়ার অংশ। দেশটি গঠিত ৫০০টির বেশি দ্বীপ নিয়ে। এখানকার রক আইল্যান্ডস সাউদার্ন ল্যাগুন ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য। চারদিকে স্বচ্ছ পানি, প্রবাল প্রাচীর, আর সবুজে ঘেরা দ্বীপ, সব মিলিয়ে এখানে প্রকৃতি রয়েছে প্রায় অক্ষত।
এই দেশ স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্যও পরিচিত। ব্লু কর্নার, জার্মান চ্যানেল আর জেলিফিশ লেক বিশ্বের নানা প্রান্তের ডাইভারদের আকর্ষণ করে। এছাড়া পালাও-ই প্রথম দেশ যারা সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষায় ‘শার্ক স্যাংচুয়ারি’ ঘোষণা করে। এ থেকেই বোঝা যায়, পরিবেশ রক্ষায় দেশটির অবস্থান কতটা দৃঢ়।
তবে সমুদ্রের বাইরেও পালাও দেখার মতো অনেক কিছু আছে। উত্তরাঞ্চলে রয়েছে ‘বদ্রুলচাউ’ নামে প্রাচীন পাথরের স্তম্ভ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নানা স্মৃতিচিহ্নও ছড়িয়ে রয়েছে দ্বীপজুড়ে। স্থানীয় মানুষজন অতিথিপরায়ণ। আগন্তুকদের আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন তারা।
পানির নিচে ডাকঘর, সাঁতার কেটে পাঠানো যায় চিঠিপানির নিচে ডাকঘর, সাঁতার কেটে পাঠানো যায় চিঠি
দেশটি তুলনামূলকভাবে দূরবর্তী হলেও এখন সহজেই সেখানে যাওয়া যায়। টোকিও, সিউল ও ম্যানিলা থেকে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে। থাকার জন্য ভালো ব্যবস্থাও রয়েছে। বিলাসবহুল রিসোর্ট থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব ইকো-লজ পেয়ে যাবেন সেখানে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পালাও এখনো পর্যটকের চাপ থেকে অনেকটাই মুক্ত। তাই ভিড় বাড়ার আগে ঘুরে আসার এখনই সবচেয়ে ভালো সময়।
দৈএনকে/জে .আ
