ফ্লামেঙ্গোকে হারিয়ে কোয়ার্টারে বায়ার্ন মিউনিখ


ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্বকারী চার ক্লাবের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুটবল খেলছিল ফ্লামেঙ্গো। কিন্তু রোববার রাতে তাদের দারুণ ছন্দে থাকা দলকে থামিয়ে দেয় জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। হার্ড রক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় বায়ার্ন।
ম্যাচের শুরুটা ছিল রীতিমতো নাটকীয়। প্রথম কয়েক মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্লামেঙ্গো। তবে সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। মাত্র ৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে ব্যবধান কমিয়ে দেয় ফ্লামেঙ্গো নিজেরাই। এরপর ৯ মিনিটে দুর্দান্ত এক বাঁ পায়ের দূরপাল্লার শটে গোল করেন হ্যারি কেইন, ম্যাচে সমতা ফেরান বায়ার্নের এই তারকা স্ট্রাইকার।
এরপর বায়ার্ন ধীরে ধীরে খেলায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল করে জয় নিশ্চিত করে। ফ্লামেঙ্গোর পক্ষে আর কোনো প্রত্যাবর্তনের সুযোগ ছিল না।
এই জয়ে টুর্নামেন্টের শেষ আটে জায়গা পাকা করল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
দারুণ শুরু করেও ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপীয় ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয় ধরে রাখতে পারেনি ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লামেঙ্গো। আক্রমণ, গোলের সুযোগ আর বল দখলে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের ব্যবধানে হার মানে ফেলিপে লুইজের দল।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ফ্লামেঙ্গোর হয়ে প্রথম গোলটি করে ব্যবধান কমান জেরসন। তার নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ২-১ ব্যবধানে ফেরে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। তবে তাদের সেই প্রত্যাবর্তন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪১ মিনিটে বায়ার্নের মিডফিল্ডার লিওন গোরেস্কা গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে দেন, যা ছিল প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তের বড় ধাক্কা ফ্লামেঙ্গোর জন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফ্লামেঙ্গো আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জর্জিনহো গোল করে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান, স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-২।
কিন্তু ফ্লামেঙ্গোর কামব্যাকের আশা গুঁড়িয়ে দেন বায়ার্নের ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইন। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলেই জয় নিশ্চিত হয় বায়ার্ন মিউনিখের।
ম্যাচজুড়ে ফ্লামেঙ্গো ছিল বেশি আক্রমণাত্মক। তাদের শট, বলের দখল এবং পাসের গতি ছিল প্রশংসনীয়। তবে সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল জার্মান জায়ান্টরা। ফলাফল—ফ্লামেঙ্গোর লড়াকু পারফরম্যান্সের পরও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
