কচুয়ায় বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন কে ঘিরে উৎসবের আমেজ


বাগেরহাটের কচুয়ায় দীর্ঘ দিন পরে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ কে ঘিরে উৎসবের আমেজ চলছে। নানা আলোচনা- সমালোচনা আর উত্তেজনা শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) কচুয়া উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫ উপলক্ষে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।আগামী ২৬ জুলাই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর পরই ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
উপজেলার বিভিন্ন প্রার্থী তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন । চলছে গণসংযোগ, মিছিল,লিফলেট বিতরণ ও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও চায়ের টেবিলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ, কে হতে যাচ্ছে আগামীতে বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি আর ভোট চেয়ে চলছে মাইকিং। দীর্ঘ দেড় যুগ পর বিএনপিতে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করার সুযোগ পাওয়ায় ভোটার ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলা জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ।
মূলত তিনটি পদে নির্বাচন হচ্ছে এর মধ্যে সভাপতি পদে চেয়ার প্রতীক নিয়ে কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রধান সমন্বয়ক সরদার জাহিদ এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক আহবায়ক হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না তার প্রতীক হচ্ছে ছাতা।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন দুজন। উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ তৌহিদুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে কলস প্রতীক নিয়ে লড়বেন বিএনপি নেতা সরদার সাহনেওয়াজ তার প্রতীক হচ্ছে ফুটবল।
অন্যদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৫ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, তালা প্রতীকে মোঃ নুরুল ইসলাম সিকদার মোরগ প্রতীক নিয়ে হুমায়ুন কবির, মাছ প্রতীক নিয়ে রয়েছেন মোঃ মহিদুল ইসলাম নকীব (মহিত) এবং সাইকেল প্রতীক নিয়ে মুহাম্মদ আব্দুস সালেক শেখ নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয় জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক বর্তমান সভাপতি প্রার্থী সরদার জাহিদ বলেন, আমি নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসমুক্ত কচুয়া উপজেলা বিএনপি উপহার দেব। এছাড়াও বিএনপিকে আরো সুসংগঠিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবো।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক আহবায়ক বর্তমান সভাপতি প্রার্থী হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমি জেল জুলুম আর হামলার শিকার হয়েছি এলাকায় থাকতে পারিনি। সাধারণ নেতাকর্মীরা আমার সাথে রয়েছে আমার বিশ্বাস আমাকে আবারও সভাপতি নির্বাচিত করবেন। এছাড়াও বিভিন্ন পদে অন্যান্য প্রার্থীরাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
