রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj

ভালুকা পাঁচগাঁও সানরাইজ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি

ভালুকা পাঁচগাঁও সানরাইজ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাঁও সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মো. আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ-ঘুষ গ্রহণ, জমি আত্মসাৎ, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং হয়রানিমূলক মামলার মাধ্যমে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করছেন। এতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনসাধারণ অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বিশ্বস্ত সূত্র ও লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে-বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ঘুষ লেনদেন হয়েছে। অফিস সহায়ক পদে গোলাম রব্বানী (রুন্টি) থেকে আদায় করা হয় ৫ লক্ষ টাকা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে লতিফের কাছ থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং আয়া পদে রিমার কাছ থেকে নেওয়া হয় ৮ লক্ষ টাকা। এসব অনৈতিক লেনদেনের সঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু হানিফ, সদস্য বুলবুল ইসলাম ও ফেরদৌস কবিরের জড়িত থাকারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরও জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা শুক্কুর আলীর কন্যাকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে নেওয়া হয় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খান তদন্ত করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষককে অর্থ ফেরতের নির্দেশ দেন। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি-শুধুমাত্র ১ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে বাকি অর্থ ফেরত চাইলে শুক্কুর আলী বিভিন্নভাবে হুমকি ও হয়রানির শিকার হন।

শুধু অর্থ লেনদেনই নয়-বিদ্যালয়ের জমি আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বিরুদ্ধে তিনি চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির পথ বেছে নেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। সচেতন মহলের মন্তব্য-শিক্ষাঙ্গনে এমন ক্ষমতার অপব্যবহার কেবল শিক্ষার পরিবেশকেই কলুষিত করে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নৈতিকতা ও মূল্যবোধকেও হুমকির মুখে ফেলে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শাহ মো. আব্দুল মতিন বলেন, “ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ষড়যন্ত্র।”

অন্যদিকে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে, এলাকাবাসীরা একত্রিত হয়ে দাবি জানিয়েছেন-প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তারা তার অবিলম্বে অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।


দৈএনকে/ জে. আ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

A PHP Error was encountered

Severity: Core Warning

Message: PHP Startup: Unable to load dynamic library 'tidy.so' (tried: /opt/cpanel/ea-php74/root/usr/lib64/php/modules/tidy.so (libtidy.so.5: cannot open shared object file: No such file or directory), /opt/cpanel/ea-php74/root/usr/lib64/php/modules/tidy.so.so (/opt/cpanel/ea-php74/root/usr/lib64/php/modules/tidy.so.so: cannot open shared object file: No such file or directory))

Filename: Unknown

Line Number: 0

Backtrace: