মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • অভ্যুত্থানে ১০ শহিদসহ আহত ১৭৫৭ জুলাইযোদ্ধার গেজেট প্রকাশ দান–খয়রাতে গড়া জীবন থেকে চাঁদাবাজির অন্ধকারে: সমাজ কোন পথে হাঁটছে? নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে ৬০ হাজার সেনাসদস্য: প্রেসসচিব তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধরের লিখিত অভিযোগ লালমনিরহাটে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, উল্টে গেছে বগি রূপপুর দুর্নীতির অভিযুক্ত ‘মিস্টার ম্যানেজার’ আশরাফুল ইসলামের অদৃশ্য জাদু! দুর্বৃত্ত রাজনীতি নয়, আজ থেকে এনসিপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছি: নীলা ইস্রাফিল খামেনিকে হত্যা ও ইরানে হামলার হুমকি দিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াকআউট করে আবারও ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দিল বিএনপি পেহেলগামের ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি: চিদাম্বরম
  • চলচ্চিত্রের প্রসারে ১০০ প্রেক্ষাগৃহ গড়ছেন প্রসেনজিৎ

    চলচ্চিত্রের প্রসারে ১০০ প্রেক্ষাগৃহ গড়ছেন প্রসেনজিৎ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন ওপার বাংলার সুপরিচিত অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি। তিনি পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ১০০টি ‘মাইক্রো ফরম্যাট’ প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, যা নিকট ভবিষ্যতে দেশের বিনোদন শিল্পে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

    ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই উদ্যোগের তথ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সরাসরি নিশ্চিত করেছেন। মমতা জানিয়েছেন, এই প্রকল্প শুধু রাজ্য সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তা জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারিত হবে। ফলে শুধুমাত্র বিনোদন সেক্টর নয়, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মধ্যদিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

    প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে থাকবে ৪০ থেকে ৫০ জন দর্শকের জন্য বসার ব্যবস্থা, যা শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নির্মিত হবে। এর ফলে সব ধরনের চলচ্চিত্র সহজলভ্য হবে দেশের প্রতিটি মানুষকে, যে কোনো শ্রেণী ও পেশার দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবে এই বিনোদন মাধ্যম।

    কলকাতার নবীনা প্রেক্ষাগৃহের মালিক নবীন চৌখানি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “বর্তমানে সিঙ্গেল স্ক্রিন হলের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, যা আমাদের শিল্পের জন্য এক বড় ধাক্কা। দীর্ঘদিন ধরেই এই সংকটের সমাধান চাওয়া হচ্ছিলো, আর বুম্বাদা অবশেষে সেই ফাঁক পূরণ করতে যাচ্ছেন। এটা সত্যিই খুশির খবর।”

    অন্যদিকে, জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক অঙ্কুশ হাজরাও প্রসেনজিতের সাহসী উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “অনেক সময় আমরা শুধু পরিকল্পনা করি, কিন্তু তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হই। বুম্বাদা সেই সীমা ভেঙে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন।”

    এ কে রাতুলের মতো শিল্পীদের পথচলার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে বলেই মনে করছেন অনেকেই। প্রসেনজিতের এই পরিকল্পনা বাংলার সিনেমা প্রেমীদের জন্য এক নতুন আশার আলো হয়ে উঠবে।


    দৈএনকে/জে, আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন