রাশিয়ায় নিখোঁজ যাত্রীবাহী প্লেন, অনুসন্ধানে উদ্ধারকারী দল


রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি আঞ্চলিক যাত্রীবাহী বিমান রাডার থেকে হারিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্থানীয় গভর্নর। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) প্রায় ৫০ জন আরোহী নিয়ে আকাশে থাকা অবস্থায় বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিমানের খোঁজে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যক্রম। জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক রাশিয়ার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় শাখা জানিয়েছে, নিখোঁজ বিমানটি Antonov An-24 মডেলের এবং এটি পরিচালনা করছিল সাইবেরিয়া ভিত্তিক এয়ারলাইন ‘আঙ্গারা’।
বিমানটি চীন সীমান্ত সংলগ্ন আমুর অঞ্চলের টাইন্ডা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। পথে সেটি রাডারের আওতা থেকে হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
তল্লাশি ও উদ্ধার কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিশেষ উদ্ধার ইউনিট যুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম-এ এক বার্তায় জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী বিমানটিতে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন শিশুও ছিল। এছাড়া বিমানটিতে ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি লেখেন, “বিমানটি খুঁজে পেতে জরুরি প্রয়োজনীয় সব রকমের বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।”
তবে রাশিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের হিসেবে বিমানে আরোহীর সংখ্যা কিছুটা কম হতে পারে, প্রায় ৪০ জনের মতো।
আপাতত বিমানটির কোনো ধ্বংসাবশেষ বা অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। খারাপ আবহাওয়া এবং দুর্গম ভূখণ্ড অনুসন্ধান কাজকে ব্যাহত করছে। আমুর অঞ্চলের পার্বত্য ও বনভূমি অধ্যুষিত এলাকাটি যোগাযোগ ও উদ্ধার অভিযানের জন্য বরাবরই চ্যালেঞ্জিং বলে পরিচিত।
এন-২৪ মডেলের বিমানগুলো রাশিয়ায় আঞ্চলিক ফ্লাইটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে বেশ পুরনো এই মডেলটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এর আগে অতীতেও রাশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এন-২৪ বিমান দুর্ঘটনার খবর শোনা গেছে।
এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বিমানের আরোহীদের ভাগ্য সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সম্ভাব্য দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলাকায় জরুরি শিবির স্থাপন করেছে এবং অনুসন্ধান কাজ দ্রুততর করতে সামরিক বাহিনীর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। রাশিয়ার ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে এবং বিমানের শেষ যোগাযোগ ও ফ্লাইটপথ বিশ্লেষণ করছে।
