হজের খুতবায় মুসলিম ঐক্য ও তাকওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ


পবিত্র হজের খুতবায় মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। আজ মসজিদে নামিরায় খুতবা প্রদানকালে তিনি বলেন, মুসলমানদের শত্রু শয়তান, তাই পরস্পরের মধ্যে বিভেদ নয়—ঐক্যই হোক মূল চেতনা।
তিনি আরও বলেন, “ঈমানদারদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা, তাকওয়া অবলম্বন করা এবং নেক আমলে অগ্রসর হওয়া। ইসলাম মানবজাতির জন্য পরিপূর্ণ দ্বীন। ক্ষমাশীলতাই আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ খুলে দেয়।”
ইমাম খুতবায় ইসলাম ধর্মের তিন স্তর—ইসলাম, ঈমান ও ইহসানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “ইহসান হলো সর্বোচ্চ স্তর—আল্লাহর এবাদত করো এমনভাবে যেন তুমি তাঁকে দেখছো। পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার, প্রতিশ্রুতি পালন এবং লজ্জাশীলতা ঈমানের অংশ।”
তিনি হাজিদের আহ্বান জানান বেশি বেশি জিকির, দোয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনার জন্য। পাশাপাশি নেক কাজে সহযোগিতা ও মন্দ কাজে প্রতিবন্ধকতা গড়ার নির্দেশও দেন।
এদিকে আজ ৮ জিলহজ বৃহস্পতিবার, ভোর থেকে হাজিরা পবিত্র আরাফাতের ময়দানে পৌঁছাতে শুরু করেছেন। সেখানে তারা দিনের বড় অংশ আল্লাহর ইবাদতে অতিবাহিত করবেন। এদিনই হজের অন্যতম প্রধান ফরজ—ওকুফে আরাফা পালন করা হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তীব্র রোদে বাইরে না থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।
সূর্যাস্তের পর হাজিরা আরাফা থেকে মুজদালিফা যাবেন, সেখান থেকে সংগ্রহ করবেন রমির জন্য পাথর। ১০ জিলহজ তারা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি, ও ইহরামমুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।
পরবর্তী দিনগুলোতে তারা ছোট, মাঝারি ও বড় শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ, তাওয়াফে জিয়ারত এবং সাঈ সম্পন্ন করবেন। শেষ দিন ১৩ জিলহজ পর্যন্ত হজের আনুষ্ঠানিকতা চলবে।
