বাড়িতেই বানাতে পারেন মজার মালাই কিমা


ঘরে বানাতে পারেন মালাই কিমা,ক্রিম, দই আর মসলা মিশে এক দারুণ স্বাদ। রুটি, পরোটা কিংবা ভাত, সবকিছুর সঙ্গেই মানিয়ে যায় এই কিমা।
ক্রিমি, ঝাল আর হালকা মিষ্টি স্বাদের এক অনন্য রেসিপি, মালাই কিমা। গরুর এই কিমার সঙ্গে দই, ক্রিম, মসলার মেলবন্ধন আর শেষে কসুরি মেথির গন্ধে একেবারে পারফেক্ট একটা ডিশ হয়ে ওঠে এটা। ঘরোয়া রান্নায় একটু ভিন্ন স্বাদ আনতে চাইলে এই রেসিপি হতে পারে আদর্শ। চলুন দেখে নেই, কীভাবে করবেন মালাই কিমার রান্না।
যা যা লাগবে
- ভাজা পেঁয়াজ ৩০ গ্রাম
- টক দই আধা কাপ
- কাঁচা মরিচ ৫-৬টি
- ক্রিম ৩/৪ কাপ
- তেল ১/৪ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি ১টি (মাঝারি)
- ক্যাপসিকাম কুচি ১টি
- গরুর কিমা ৫০০ গ্রাম
- আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
- টমেটো পিউরি ২টি (মাঝারি)
- হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট ১ চা-চামচ (স্বাদ অনুযায়ী)
- মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ
- ভাজা জিরা গুঁড়া আধা টেবিল চামচ
- ভাজা ধনে গুঁড়া আধা টেবিল চামচ
- হলুদ ১/৪ চা-চামচ
- গরম মসলা ১/২ চা-চামচ
- পানি আধা কাপ (প্রয়োজনে সামান্য বেশি)
- কসুরি মেথি আধা টেবিল চামচ
- গুঁড়া গোল মরিচ ১/২ চা-চামচ
- লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
- ধনেপাতা কুচি সাজানোর জন্য
যেভাবে রান্না করবেন
একটি ব্লেন্ডারে ভাজা পেঁয়াজ, দই, কাঁচা মরিচ আর ক্রিম একসঙ্গে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে রাখুন। তারপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে কুচানো পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম দিয়ে ১ মিনিট ভেজে আলাদা করে রাখুন।
রেস্তোরাঁর মতো মাটন বিরিয়ানি হবে বাড়িতে, রইল রেসিপিরেস্তোরাঁর মতো মাটন বিরিয়ানি হবে বাড়িতে, রইল রেসিপি
সেই কড়াইতেই গরুর কিমা দিন। নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না রঙ পরিবর্তন হয়। এবার দিন আদা-রসুন বাটা। ৪-৫ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন। এরপর দিন টমেটো পিউরি, লবণ, মরিচ গুঁড়া, ভাজা জিরা ও ধনে গুঁড়া, হলুদ, গরম মসলা। ভালোভাবে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না তেল আলাদা হয়।
এবার আধা কাপ পানি দিন। ঢেকে দিন ১০-১৫ মিনিটের জন্য, হালকা আঁচে। তারপর ঢাকনা খুলে আঁচ বাড়িয়ে কিমা শুকিয়ে নিন। এবার দিন আগে ব্লেন্ড করে রাখা দই-ক্রিমের মিশ্রণ। ভালোভাবে মেশান। ২-৩ মিনিট রান্না করুন, এরপর ঢেকে দিন ৬-৮ মিনিট।
শেষে দিন কসুরি মেথি, গোল মরিচ গুঁড়া আর লেবুর রস। দিন আগে ভেজে রাখা পেঁয়াজ-ক্যাপসিকাম আর ধনেপাতা কুচি। আর পরিবেশন করুন গরম গরম—রুটি, পরোটা কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে।
টিপস
- কিমা যদি হাত দিয়ে কুচানো হয়, তাহলে স্বাদ ও টেক্সচার একদম আলাদা হয়।
- কসুরি মেথি ও গোল মরিচ দেওয়ার পর চুলা বেশি না জ্বালিয়ে দিন, এতে সুগন্ধ বজায় থাকে।
- ঝাল কম বা বেশি করতে কাঁচা মরিচের পরিমাণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
রান্না হয়ে গেলে ধনেপাতা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। গন্ধে আর স্বাদে মুগ্ধ হবেন, এ কথা নিশ্চয়তা দিয়েই বলা যায়।
দৈএনকে/জে .আ
